বাম মোর্চার প্রধান সমন্বয়ক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।
সমাবেশের সভাপতি ও বামমোর্চার প্রধান সমন্বয়ক সাইফুল হক বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাস উদ্দীন হিসেব করে দেখিয়েছেন প্রতিবছর দেশ থেকে ৭০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে।
তিনি দাবি করেন, ব্যাংক লুট, শেয়ার বাজারে লুটপাট-ডাকাতি ও আর্থিক খাতে অরাজকতার মধ্য দিয়ে এই টাকা পাচার করা হচ্ছে। অথচ সরকার লুটপাটকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।
সাইফুল হক বলেন, মহিউদ্দীন খান আলমগীরের পরিবার, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, পরিকল্পনামন্ত্রীর মেয়ে নাফিজা কামাল গংরা সর্বশেষ ফার্মার্স ব্যাংক লুট করেছেন। অথচ এখন বলা হচ্ছে, জনগণের করের টাকায় নাকি এই ব্যাংক চালু রাখতে হবে। এর আগে সোনালী ব্যাংক লুট করা হয়েছে। বেসিক ব্যাংক লুট করা হয়েছে। দুই দফায় শেয়ার বাজার লুট করা হয়েছে। ইসলামী ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের মতো একাধিক ব্যাংক চট্টগ্রামের একটি পরিবারের হাতে তুলে দিয়ে জনগণের আমানতকে হুমকিতে ফেলা হয়েছে। লুটপাটের আরো সুবিধার জন্য ব্যাংকিং আইনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। সরকার যাদের মন্ত্রী বানাতে পারেনি তাদের খুশি করতে একটি করে ব্যাংক উপঢৌকন দিচ্ছে।
তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে সরকার দেশের সমগ্র আর্থিক খাতকে বিপদের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। সরকারের অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যেই এর প্রমাণ মেলে। অর্থমন্ত্রী সম্প্রতি বলেছেন, ‘বর্তমানে ব্যাংকিং খাত আর ব্যাংকিং নিয়মে চলছে না, চলছে রাজনৈতিক নিয়মে’।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, বামনেতা রাজেকুজ্জামান রতন, কাফি রতন প্রমুখ। সমাবেশ শেষে সমাবেশটি মিছিল আকারে বাংলাদেশ ব্যাংক অভিমুখে রওনা দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
আরএম/জেএম