শুক্রবার (২৭ জুলাই) নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অব মানি লন্ডারিংয়ের (এপিজি) ২১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় ৪১টি দেশ ও বিশ্বের ৩০টি অবজার্ভার দেশ ও সংস্থার সংগঠন এপিজির মূল কাজ হলো, এ অঞ্চলের দেশসমূহের মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বাস্তবায়নে এবং এ লক্ষ্যে দক্ষতা বাড়াতে কাজ করা।
বাংলাদেশ ২০১৮-২০ মেয়াদে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে এ অঞ্চলের মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ কার্যক্রমে নের্তৃত্ব দেবে।
সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ পুলিশ, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, ডিজিএফআই, বিএসইসি, বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ এবং বিএফআইইউ হতে ১৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে।
মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে বর্তমান সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সরকারের পদক্ষেপ ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে। তার স্বীকৃতি স্বরূপ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশসমূহ সর্বসম্মতভাবে বাংলাদেশকে কো-চেয়ারের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
দায়িত্ব গ্রহণের পর রাজী হাসান বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির উপর গুরুত্বারোপ করে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ বাস্তবায়নে বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার বিভিন্ন দেশ ও অবজার্ভার সংস্থা হতে উপস্থিত প্রায় ৫০০শ’ প্রতিনিধির সামনে উপস্থাপন করেন।
তিনি বলেন, এপিজি’র ম্যান্ডেট বাস্তবায়নের পাশাপাশি আর্থিক অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ও আন্তর্জাতিক ব্যাংক কর্তৃক স্থানীয় ব্যাংকের সঙ্গে করেসপন্ডেন্ট ব্যাংকিং সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং এতে উদ্ভাবিত ঝুঁকি মোকাবেলায় করণীয় বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৮
পিআর/আরআইএস/