কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এলসিগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য সাতটি ব্যাংককে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন দ্রুত নিষ্পত্তি করা হচ্ছে না, তা জানতে চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, সামগ্রিকভাবে দেশের আমদানি বেড়েছে ৬৪ শতাংশ। চলতি বছরের আগস্ট শেষে আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৯ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। গত বছরের এই সময়ে আমদানি হয়েছিল ২৪ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলারের।
এরমধ্যে সরকারের মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মেশিনারি আমদানি করতে ব্যয় হয়েছে ১৪ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার। যদিও এই অর্থ বিদেশি ঋণ ও অনুদান থেকে পরিশোধ করা হবে। মেগা প্রকল্প রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেশিনপত্র আমদানির কারণে এলসির পরিমাণ বেড়ে গেছে।
বর্তমানে সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৯টি মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে মনিটরিং কমিটি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, একক মাস হিসেবে সামগ্রিক আমদানি আদেশের রেকর্ড করেছে ২০১৭ সালের নভেম্বর। ওই মাসে আমদানি করা হয়েছে ১৬ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার। এই সময়ে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য সবচেয়ে বড় এলসি খোলা হয়েছে। ক্যাপিটাল মেশিনারি আমদানির জন্য বিভিন্ন সময় সোনালী ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ অটোমিক এনার্জি কমিশন ১১ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলারের এলসি করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, আগামী ছয় মাসের মধ্যে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারের এলসি নিষ্পত্তি করা উচিত। এরইমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনিষ্পত্তি হওয়া এলসি নিষ্পত্তি করতে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে। মেয়াদপূর্তিতে আমদানি পরিশোধ করা হলে বাণিজ্য ঘাটতি আরও বাড়তে পারে বলে তা মতামত দিয়েছেন।
রপ্তানির তুলনায় আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ১৮ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। এক বছর আগেও এই ঘাটতি ছিল মাত্র ৯ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, অনিষ্পত্তি থাকা ঋণপত্রগুলো (এলসি) দ্রুত নিষ্পত্তি করতে ব্যাংকগুলোকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৮
এসই/জেডএস