বুধবার (০৬ জানুয়ারি) রাজধানীর কষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে রুপালী ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায়ী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মুস্তফা কামাল বলেন, ব্যাংক খাতের অনিয়ম রোধে প্রতিটি সরকারি ব্যাংকের জন্য আলাদাভাবে বিশেষ অডিট হবে।
যাদের ঋণ ফেরত আসছে না, তাদের কাছ থেকে ঋণ আদায়ে এই উদ্যোগ নেওয়া হবে। অনেকে এলসি করেছেন মেশিনপত্র আসেনি। কেনো আসেনি, তা বের করা হবে। অনেকের কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, কেনো চালু করতে পারছে না, তা জানা যাবে। অনেকে কারখানা চালু করেননি, তাদের আসল চরিত্র কি, তা বের করা হবে। তবে এই অডিট করার সময় কর্মকর্তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
এসময় রুপালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা ঋণ দিতে গিয়ে ভুল করেছেন, আমাকে চিনতে ভুল করবেন না।
এসময় অর্থমন্ত্রী বলেন, খেলাপি ঋণ কমাতে ব্যাংকগুলোর শাখা পর্যায়ে কর্মকৌশলের পরিবর্তন দরকার। ঋণ দেওয়ার আগে দীর্ঘ মেয়াদে চিন্তা না করে যাচাই-বাছাই করেন। ব্যাংকগুলোকে না হলে অর্থ আদায়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
তিনি বলেন, অর্থ আদায়ে খেলাপিরা যেনো দেশের বাইরে যেতে না পারে, সেজন্য নিয়ম-কানুনেরও সংস্কার আনা হবে।
এসময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির বলেন, ব্যাংক খাতে করপোরেট সুশাসন নিশ্চিতে মিড লেভেল ম্যানেজমেন্টের সর্তক থাকতে হবে। না হলে সুশাসনে উন্নতি আসবে না।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনজুর হোসেনের সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য দেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ফজলুর রহমান ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আতাউর রহমান প্রধান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৯
এসই/টিএ