সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে যোগদানের আগে অনুমোদন পাওয়া নতুন তিন ব্যাংকের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ বলেন।
রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) নতুন তিন ব্যাংক (পিপলস, সিটিজেন, বেঙ্গল) অনুমোদনের ফলে দেশে সব মিলিয়ে তফসিলি ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়াল ৬২টিতে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে আমি নতুন তিন ব্যাংক নিয়ে পুরোপুরি অবহিত নই। তাই কোনো কথা বলবো না। তিনটি ব্যাংক সম্পর্কে আগে আমাকে জানতে হবে। আমি এখনও ভালো জানি না। সংশ্লিষ্ট অফিসারদের সঙ্গে আলাপ করে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেবো। তারপর আপনাদের জানাবো। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেহেতু অনুমোদন দিয়েছে তাদের প্রয়োজন না থাকলে এ কাজ করতো না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক হয়তো প্রয়োজন অনুভব করেই অনুমোদন দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমি মনে করি কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তারা সম্পূর্ণ বিচার বিশ্লেষণের ভিত্তিতেই নতুন ব্যাংকগুলোর অনুমোদন দিয়েছেন। তবে ব্যাংকগুলোকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য এখন থেকেই প্রয়োজনীয় বিভিন্ন শর্ত দেওয়া হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের যে ব্যাংকগুলো আছে তাদের পরিশোধিত মূলধন ৪শ’ থেকে ৫শ’ কোটি টাকা। এটা কিছুই নয়। বিদেশি কোনো ব্যাংকের একটি ব্রাঞ্চের যে মূলধন আছে তা আমাদের বিশটি ব্যাংকেরও নেই। ফলের ব্যাংকের সংখ্যা দিয়ে বিবেচনা করলে চলবে না। আমাদের বিবেচনা করতে হবে ব্যাংকের চাহিদা আছে কিনা, সেটা।
খেলাপিঋণের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, খেলাপিঋণ দীর্ঘদিন ধরেই হয়ে আসছে। এসব খেলাপিঋণ থেকে কিভাবে অব্যহতি পেতে পারি সে বিষয়ে আমরা কথা বলছি। আমার মনে হয়, আমরা একটি সমাধানে আসতে পারবো। খেলাপিঋণ যতই বেড়ে যায় ততই ব্যাংকের খরচ বেড়ে যায়, ব্যাংক সুদ হার বেড়ে যায়। এটা আমাদের কমাতে হবে। এটা কমাতে শিগগিরই বিশেষ অডিটের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।
রোববার নতুন তিনটি ব্যাংককে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে পরিচালনা পর্ষদের জরুরি বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। ব্যাংক তিনটি হলো- বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, দ্য সিটিজেন ব্যাংক ও পিপলস ব্যাংক। তিনটি ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ৪০০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ কোটি টাকা করতে শর্ত দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সভায় এসব ব্যাংককে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) বা ব্যাংক স্থাপনের আগ্রহপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে নতুন এসব ব্যাংক স্থাপন করতে উদ্যোক্তাদের ৫০০ কোটি টাকা মূলধন জোগান দিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস