প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মোট জাতীয় উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ২০২০ সালেও একইভাবে স্থিতিশীল থাকবে বলে আভাস দেওয়া হয়েছে। তবে মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
এডিবির আউটলুকে দক্ষিণ এশিয়ার আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, পাকিস্তান ও শ্রীলংকার মোট জাতীয় উৎপাদন ও মূল্যস্ফতির একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের জিডিপি ২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২০২০ সালে ৩ শতাংশে উন্নীত হবে, তবে ২০১৯ সালে চেয়ে মূল্যস্ফীতিও বাড়বে ১ দশমিক ৫ শতাংশ। বর্তমানে দেশটির মুল্যস্ফীতির হার ৩ শতাংশ।
বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ২০১৯ এবং ২০২০ সালে ৮ শতাংশ স্থিতিশীল থাকবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে মূল্যস্ফীতি বাড়বে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভুটানের জিডিপি শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৬ শতাংশে উন্নীত হলেও মূল্যস্ফীতি বাড়বে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। একইভাবে ভারতের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৩ শতাংশে উন্নীত হবে। মূল্যস্ফীতিও শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৪ দশমিক ৬ শতাংশে পৌঁছাবে।
এডিবির আউটলুকে মালদ্বীপের জিডিপির প্রবৃদ্ধি শূন্য ২ শতাংশ কমার পাশাপাশি মুল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। নেপালের জিডিপির প্রবৃদ্ধি শূন্য দশমিক ১ শতাংশ বাড়লেও মূল্যস্ফীতি বাড়বে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ।
তবে পাকিস্তানের জিডিপির প্রবৃদ্ধি শূন্য দশমিক ৩ শতাংশের পাশাপাশি দেশটির মূল্যস্ফীতিও কমবে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। এছাড়াও শ্রীলংকার জিডিপির প্রবৃদ্ধি শূন্য দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধির সঙ্গে মূল্যস্ফীতিও বাড়বে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ।
বুধবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এডিবি ঢাকা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এশিয়ান ডেভলপমেন্ট আউটলুক-২০১৯ এর বরাত দিয়ে চলতি অর্থবছরে (২০১৮-১৯) মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি আট শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ। আউটলুকের মূল অংশ তুলে ধরেন এডিবির সিনিয়র অর্থনীতিবিদ সুন চান হং।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৯
এসই/এমজেএফ