ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ব্যাংকিং

ব্যাংকিংয়ে ব্লকচেইন ব্যবহারে গুরুত্বারোপ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৯
ব্যাংকিংয়ে ব্লকচেইন ব্যবহারে গুরুত্বারোপ বিআইবিএম-এ আলোচনা সভায় উপস্থিত অতিথিরা

ঢাকা: ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ব্লকচেইন খুবই সম্ভাবনাময়। বিশ্বের কয়েকটি দেশে এরইমধ্যে জনপ্রিয়তা পেলেও বাংলাদেশে যাত্রা শুরু হয়েছে মাত্র।

মূলত ব্যাংকিংয়ে ব্লকচেইন হলো আর্থিক ও তথ্য লেনদেনের এক ধরনের ব্যবস্থা। এ ব্লকচেইন হলো এক ধরনের ডাটা স্ট্রাকচার যা তথ্যেও বিকেন্দ্রীভূত ডিজিটাল লেজার তৈরিতে কাজ করে।

একটি নির্দিষ্ট নেটওয়ার্কের আওতাধীন সব কম্পিউটার মিলে এ বিকেন্দ্রীভূত লেজার তৈরি করে, যা অত্যন্ত নিরাপদ।
 
রোববার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘রেলিভেন্স অব ব্লকচেইন ফর ব্যাংকস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থাপিত প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) বৈঠকের আয়োজন করে।
 
গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএম’র চেয়ার প্রফেসর ড. বরকত-এ-খোদা। তিনি নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ব্যাংকিংয়ে ব্লকচেইন ব্যবহারের ওপর জোরারোপ করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইবিএম’র অধ্যাপক এবং পরিচালক (প্রশাসন ও হিসাব এবং গবেষণা, উন্নয়ন ও পরামর্শ) ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জি। তিনি তার বক্তব্যে ব্যাংকিংয়ে ব্লকচেইন ব্যবহার বিষয়টি বিশ্লেষণ করেন।
 
গোলটেবিল বৈঠকে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএম’র সহযোগী অধ্যাপক মো. মাহবুবুর রহমান আলম। চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এ গবেষণা সম্পন্ন করেন। গবেষণা দলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন বিআইবিএম’র সহকারী অধ্যাপক কানিজ রাব্বী, ইউনাইটেড নেশনস ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের (ইউএনসিডিএফ) কান্ট্রি প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মো. আশরাফুল আলম, নাজটেক ইনকর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল আহমেদ নাজ।  
 
গবেষণায় প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি দুই ধরনের তথ্যের ব্যবহার করা হয়েছে। এতে দেশের ৩৪টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে। এর বাইরে ১০০ জনের বেশি বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তাদের সাক্ষাতকার নেওয়া হয়।
 
গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআইবিএম’র নির্বাহী কমিটির সভাপতি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস. এম. মনিরুজ্জামান।
 
তিনি বলেন, একটি নিয়ন্ত্রণমূলক সংস্থা হিসেবে ই-ব্যাংকিং পরিচালনায় বাংলাদেশ ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এছাড়াও ই-পেমেন্ট, ই-ব্যাংকিং, অটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাউস সিস্টেম এবং মোবাইল ব্যাংকিং চালু করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ইউটিলিটি বিল, অনলাইন অর্থ স্থানান্তরসহ বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যাংকিং কার্যক্রমের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিআইবিএম’র সুপারনিউমারারি অধ্যাপক এবং পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএম’র সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলি, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের চিফ ডিজিটাল অফিসার শ্যামল বরণ দাস।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৯
এসই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।