বুধবার (২৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ৩ সেপ্টেম্বর ঋণ পুনঃতফসিল ও এককালীন পরিশোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালার সময়সীমা ২০ অক্টোবর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছিল।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ে যেসব ঋণ খেলাপিরা দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে পুনঃতফসিল সুবিধার আবেদন করেছেন, তারা নতুন করে কোনো ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন না।
এর আগে চলতি বছরের ১৬ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ঋণ পুনঃতফসিল সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ বিষয়ে দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে ২১ মে ওই প্রজ্ঞাপনের ওপর ২৪ জুন পর্যন্ত স্থিতাবস্থা বজার রাখার জন্য আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২ জুলাই আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ৮ জুলাই পর্যন্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। ৮ জুলাই এ স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়ান। তবে যারা দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্টের সুবিধা নেবেন, তারা নতুন করে ঋণ নিতে পারবেন না। সে আদেশ অনুসারে রিট মামলাটি উক্ত আদালতের কার্যতালিকায় উঠে। রুল শুনানি অবস্থায় দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্ট নিয়ে আদালতের আদেশ কয়েকবার বাড়িয়েছেন।
মানবাধিকার সংগঠন এইচআরপিবির করা এক রিট আবেদনে হাইকোর্ট গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে ঋণখেলাপির তালিকা দাখিলের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে রুল জারি করেন। রুলে আর্থিক খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা বন্ধে কমিশন গঠনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং এই কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
এর মধ্যে গত ১৬ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্ট সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়। তখন এই রিটে ওই সার্কুলারের বিষয়ে সম্পূরক আবেদন করেন মনজিল মোরসেদ।
পরবর্তীতে ২৪ জুন বাংলাদেশ ব্যাংক সিলগালা করে ঋণখেলাপিদের তালিকা হাইকোর্টে দাখিল করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
এসই/টিএ