রোববার (৩১ মে) থেকে ব্যাংকের সবগুলো শাখায় স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
লেনদেন শুরু হয়েছে সকাল ১০টা থেকে, চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চলতি বছরের ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি শুরুর পর সীমিত আকারে লেনদেন চলে ব্যাংকে। ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাংকের অধিকাংশ শাখা বন্ধ রাখা হয়েছিল। প্রথম দিকে লেনদেনের সময় সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত করা হলেও পরে তা বাড়িয়ে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত করা হয়। পরবর্তীতে বিমানবন্দর, ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাণিজিক্য এলাকায় ২৪ ঘণ্টাই ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সাধারণ ছুটি শেষ হওয়ার পর ব্যাংক খোলার সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকের উপস্থিতিও মোটামুটি লক্ষ্য করা গেছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিস কর্পোরেট শাখায় গিয়ে দেখা গেছে, নিয়মনীতি ও নিরাপদ শারীরিক দূরত্বের তোয়াক্কা না করেই লেনদেনের জন্য অপেক্ষা করছেন গ্রাহকরা। কাউন্টারে যাওয়ার আগে অপেক্ষার জন্য যেসব বক্স তৈরি করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে কোনো কোনো গ্রাহক না দাঁড়িয়ে নিজেদের ইচ্ছেমতো দূরত্বে অবস্থান করছেন। রূপালী ব্যাংকের লোকাল অফিসের কর্পোরেট শাখার মহাব্যবস্থাপক খান মো. ইকবাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরুর আগেই আমরা গ্রাহকদের নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মেনে দাঁড়ানোর জন্য বক্স তৈরি করে দিয়েছি। শাখায় প্রবেশের সময় শরীরে তাপমাত্র পরিমাপের পাশাপাশি, জীবাণুমক্ত করার জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিচ্ছি। সবার সচেতনতায় আমরা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারবো বলে আশা করি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে চলতি বছরের জানুয়ারী শেষে দেশে কার্যরত ৫৯টি ব্যাংকের ১০ হাজার ৫৮৩টি শাখা রয়েছে। এরমধ্যে শহরে ৫ হাজার ৫৫৯টি এবং গ্রামে ৫ হাজার ২৪টি শাখা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২১ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২০
এসই/এএটি