শনিবার (১৮ জুলাই) আইএফসি থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি সিটি ব্যাংকের সঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের (আইএফসি) একটি চুক্তি সই হয়।
এতে সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মারুফ ও আইএফসির বাংলাদেশের সিনিয়র কান্ট্রি অফিসার নুজহাত আনোয়ার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে একটি চুক্তিপত্রে সই করেন।
আইএফসি ঋণ দিচ্ছে মূলত তাদের কোভিড-১৯ বৈশ্বিক যে আট বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ সেই খাত থেকে। ফার্স্ট ট্র্যাক এই ফিন্যান্সিং প্যাকেজ তারা চালু করেছে মূলত কোম্পানিগুলো যাতে তাদের ব্যবসা অব্যাহত রাখতে পারে।
কোভিড-১৯ এর কারণে তারা বিনিয়োগ করছে ব্যবসায়ীদের পুঁজি ঠিক রাখতে। এই কাজে আইএফসি সারাবিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির অঞ্চলের ব্যাংকগুলোকে দুই বিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে। এর মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা তাদের সবখাত সচল রাখতে পারবে, এমনকি কর্মীদের বেতন-বাবদ ব্যয়ের বিষয়টি সমন্বয় করতে পারবে।
আইএফসির অর্থায়ন প্রসঙ্গে সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মারুফ বলেন, ‘সিটি ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার সামর্থ্য বাড়াতে এবং অফশোর ব্যাংকিং বিজনেসে আইএফসি বড় ভূমিকা পালন করছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর জন্য গঠিত ডাব্লিউসিএস তহবিল থেকে আমরা যে অর্থ পাচ্ছি, তার মাধ্যমে আমরা গ্রাহকদের প্রয়োজনে আরও বেশি পাশে থাকতে পারবো। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে বর্তমান প্যানডেমিকের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার যে চাহিদা ছিলো, দেশের বাইরে থেকে আমরা আনতে পারায় সেই তারল্য সংকট কেটে যাচ্ছে। ’
উল্লেখ্য যে, ২০১৭ সাল থেকে আইএফসি সিটি ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডার। এবার তারা যে অর্থায়ন করছে, সেই প্যাকেজের আওতায় ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল, ট্রেড ফিন্যান্স ও বৈদেশিক অর্থ বিনিময় প্রভৃতি বিষয়ে কাজ হবে। যা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে সিটি ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট।
বর্তমান অর্থনৈতিক উদ্যোগ প্রসঙ্গে আইএফসির কান্ট্রি ম্যানেজার (বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল) ওয়েন্ডি জোওয়ার্নার বলেন, ‘আমরা দেখছি বর্তমান অবস্থায় প্রথমেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা। তাই তাদের ব্যবসা রক্ষা করতে এবং আর্থিক ক্ষতি কমিয়ে আনতে তাদের পাশে থাকতে হবে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান বৈশ্বিক দুর্যোগের মধ্যে নগদ অর্থ প্রবাহে মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আশা করছি, আইএফসির ফার্স্ট ট্র্যাক কোভিড-১৯ ফ্যাসিলিটির মাধ্যমে সিটি ব্যাংক তা কাটিয়ে উঠতে পারবে এবং তাদের সব কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে পারবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২০
এএটি