প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়েছে, রফতানিমুখী শিল্পে ব্যবসা পরিচালনা সহজতর হলে এ ক্ষেত্রে নারীর ভূমিকা বাড়বে। বাড়বে নারীর কর্মসংস্থান।
শুধু তাই নয় গবেষক হিসেবে বিভিন্ন ফেলোশিপের আয়োজন করা হয়েছে নারীদের জন্য। ফলে নারী গবেষকের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। কর্মজীবী নারীদের নিরাপত্তা প্রদান ও বিভিন্ন শ্রমে অংশগ্রহণে সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সকল জেলায় প্রয়োজনীয় আবাসন ও ডে কেয়ার সেন্টার নির্মাণের সুপারিশ করা হয়েছে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের বাজেটে।
‘নিজের বাড়ি নিজে করি’ শীর্ষক প্রকল্পে নারীদের প্রশিক্ষণ প্রদান ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে নারীদের গড়ে তোলার লক্ষ্যে হাউজিং ও বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট কর্তৃক পরিচালিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনায় বিষয়ে সুপারিশ করা হয়।
২০১৭-১৮ অর্থ বছরের বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এবারের বাজেটের আকার ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা। ‘সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ স্লোগানে এ বাজেট দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন। এটি মুহিতের একাদশ বাজেট। সংসদ প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এর আগে, সকাল ১০টায় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের এ বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়।
এই বাজেট আওয়ামী লীগ সরকারের ১৮তম এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে ৪৬তম। এবারের বাজেটকে অর্থমন্ত্রী তার ‘বেস্ট বাজেট’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
দেশের ইতিহাসে ১৯৭২ সালে তাজউদ্দিন আহমেদ প্রথম ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন। এই হিসেবে সাড়ে চার দশকে বাংলাদেশের সরকারি ব্যয়ের ফর্দ বাড়ছে ৫০০ গুণের বেশি। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সামরিক থেকে গণতান্ত্রিক বিভিন্ন সরকারে ১৪ জন অর্থমন্ত্রী (অর্থ উপদেষ্টা অথবা সামরিক আইন প্রশাসক) ৪৫টি বাজেট উপস্থাপন করেছেন এর আগে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৭
ইউএম/এমজেএফ