ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বাড়ছে কয়েকগুণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৮ ঘণ্টা, জুন ১, ২০১৭
সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বাড়ছে কয়েকগুণ

ঢাকা: দুস্থ, অবহেলিত, প্রতিবন্ধী, সমস্যাগ্রস্ত, পশ্চাতপদ মানুষের কল্যাণে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের বাজেটে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এ বৃদ্ধি কয়েকগুণ।

বৃহস্পতিবার (০১ জুন) দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের বাজেট বক্তব্য শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। এটি মুহিতের একাদশ বাজেট।

জাতীয় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে অধিবেশনের সভাপতিত্ব করছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

এর আগে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে এ বাজেট অনুমোদন করা হয়।

বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী প্রতিবন্ধীদের জন্য তৈরি হওয়া তথ্য ভাণ্ডার ব্যবহার করে সব প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে পরিচয়পত্র প্রদান করার কথা বলেন।  

সাভারে ১২ একর খাস জমির ওপর আর্ন্তজাতিক মানের প্রতিবন্ধী ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।  

২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী সামাজিক নিরাপত্তা খাতের পরিধি বাড়ানোর প্রস্তাব করেন।

বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা ৩১ লাখ ৫০ হাজার হতে বাড়িয়ে ৩৫ লাখ, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতাভোগীর সংখ্যা ১০ শতাংশ বাড়িয়ে ১২ লাখ ৬৫ হাজার, অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর সংখ্যা ১০ শতাংশ বাড়িয়ে ৮ লাখ ২৫ হাজারে এবং মাসিক ভাতার পরিমাণ ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০০ টাকায় উন্নীত করার কথা বলেন মুহিত।

প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপবৃত্তির উপকারভোগীর সংখ্যা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ৫ হাজার করে মোট ১০ হাজারে বৃদ্ধি করা, হিজড়া জনগোষ্ঠীর বিশেষ ভাতা খাতে বরাদ্দ ২ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা বাড়িয়ে ১১ কোটি ৩৫ লাখে উন্নীতকরণ, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠী বিশেষ বয়স্ক ভাতার খাতের বরাদ্দ ৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৭ কোটি টাকায় উন্নীতকরণ, ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড ও জন্মগত হৃদরোগীদের আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির বরাদ্দ ২০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ কোটি টাকায় উন্নীতকরণের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।

চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচি খাতে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ এবং খাদ্য দ্রবাদির পরিবর্তে জনপ্রতি এককালীন নগদ ৫ হাজার ‍টাকা করে প্রদান, মুক্তিযোদ্ধাদের বিদ্যামান মাথাপিছু সম্মানি ভাতার পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা হারে বছরে দু’টি উৎসব ভাতা প্রদান, দরিদ্র মায়েদের মাতৃত্বকালীন ভাতার উপকারভোগীর সংখ্যা ১ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৬ লাখে উন্নীতকরণ, কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মায়েদের মাতৃত্বকালীন ভাতার উপকারভোগীর সংখ্যা ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ করার প্রস্তাব দেন অর্থমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৭
এমইউএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।