২০১৭-১৮ অর্থ বছরের বাজেটের আকার ৪ লাখ ২শ’ ৬৬ কোটি টাকা। গত অর্থ বছরের (২০১৬-১৭) বাজেটের আকার ছিলো তিন লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা।
এ অর্থ বছরে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিয়ন্ত্রিত কর ব্যবস্থা থেকে আদায় করা হবে দুই লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।
এনবিআর বহির্ভূত কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৬২২ কোটি টাকা। এ ছাড়া সরকারের বিভিন্ন সেবা ফি বা কর বহির্ভূত উৎস থেকে আয় করা হবে ৩১ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা।
গত অর্থ বছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল দুই লাখ ৪২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। এর মধ্যে আদায় হয়েছে ২ লাখ ১৮ হাজার ৫শ‘ কোটি টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে আদায় হয়েছে ১ লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকা।
এনবিআর-বহির্ভূত খাত থেকে কর রাজস্ব আদায় হয়েছে ৭ হাজার ২৬১ কোটি টাকা। এ ছাড়া কর-বহির্ভূত খাত থেকে রাজস্ব আহরণ ২৬ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা।
এর আগে অর্থমন্ত্রী প্রথা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংসদ অধিবেশন কক্ষে যান। সংসদে উপস্থাপনের আগে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটটি। দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সংসদের কেবিনেট কক্ষে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে বাজেটটি অনুমোদন করা হয়।
বৃহস্পতিবার ২০১৬-১৭ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ও ২০১৭ সালের অর্থবিলও উপস্থাপন করা হয়। প্রস্তাবিত এ বাজেট সংসদে আলোচনার পর ২৯ জুন পাস হবে।
সংসদে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের ওপর আলোচনা হবে ৬ জুন এবং পাস হবে ৭ জুন। নতুন অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা শুরু হবে ৯ জুন এবং পাস হবে ২৯ জুন। অর্থ বিল পাসের মাধ্যমে ১ জুলাই থেকে নতুন বাজেট বাস্তবায়ন শুরু হবে।
নতুন অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনার জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে ৪৫ ঘণ্টা। সাংসদরা প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৭
এসএম/এসই/এমজেএফ