ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

দূষণ ও দখল রোধে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কল সেন্টার ‘৩৩৩-৪’ চালু

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪
দূষণ ও দখল রোধে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কল সেন্টার ‘৩৩৩-৪’ চালু

ঢাকা: পরিবেশ দূষণের অভিযোগ জানাতে এবং পরিবেশ সম্পর্কিত সেবা পেতে কল সেন্টার চালু করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ৩৩৩ এর পর ৪ ডায়াল করে অভিযোগ ও সেবা পাওয়া যাবে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই কল সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এই সেবার উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ৩৩৩-৪ নম্বরে ফোন করে যে কেউ পরিবেশন সংক্রান্ত যে কোনো অভিযোগ ও সেবা নিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে প্রথমে ৩৩৩ নম্বরে ফোন দিতে হবে। এরপর পরিবেশ সংক্রান্ত সেবা পেতে ৪ প্রেস (চাপ) দিতে হবে। কল সেন্টারে ফোন করে যে কোনো নাগরিক পানি দূষণ, বায়ু দূষণ, গাছ কাটাসহ পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত যে কোন অভিযোগ জানাতে পারবেন।

পলক বলেন, এখন থেকে নাগরিকগণ ৩৩৩ নম্বরে কল করে পরে ৪ চেপে পরিবেশ ছাড়পত্র, গবেষণাগার, বন সংরক্ষণ ইত্যাদি পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও এর অধীন অধিদপ্তরসমূহের তথ্যসেবা ও কর্মকর্তাদের তথ্য পাবেন। পাশাপাশি পানিদূষণ, বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, জীববৈচিত্র্য বিনষ্ট এবং অবৈধভাবে বন বা পাহাড় ধ্বংস ও গাছ কাটা ইত্যাদি বিষয়ে অভিযোগ জানাতে পারবেন। পরে অভিযোগটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার ড্যাশবোর্ডে প্রেরণ করা হবে। এরপর কর্মকর্তা অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং সুবিধাভোগীরা এসএমএস-এর মাধ্যমে আপডেট পাবেন অথবা ৩৩৩-তে কল করেও আপডেট জানতে পারবেন। সরকারি কাজে জনগণকে ডিজিটালি সম্পৃক্ত করে আগামী ৫ বছরে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাইলফলক স্থাপিত হবে।

অনুষ্ঠানে পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ সবকিছুর মূল লক্ষ্য সাধারণ নাগরিক এবং সরকারের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনা। প্রত্যন্ত অঞ্চলে একটা পুকুর বা একটা জলাশয় ভরাট হয়ে যাচ্ছে, ওই ব্যক্তি অভিযোগ কার কাছে করবে? এখন কল সেন্টারের মাধ্যমে সরাসরি মন্ত্রণালয়ে চলে আসছে।

অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে একটি স্মার্ট মন্ত্রণালয়ে পরিণত করতে সহযোগিতা ও সমন্বয়কে সহজতর করার জন্য এটুআই, আইসিটি বিভাগ এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং এটুআই-এর পক্ষে প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো: মামুনুর রশীদ ভূঞা সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
 
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এটুআই প্রোগ্রামের সহযোগিতায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীন সাফারি পার্কসহ বিভিন্ন পরিদর্শন কেন্দ্রে ই-টিকিট এর ব্যবস্থা করা হবে। মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও এর অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য এডিপি ট্র্যাকার, মন্ত্রণালয়ের ইনস্টিটিউশনাল মেমোরি সংরক্ষণ এবং পরিকল্পনা ও নীতি প্রণয়নে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) একীভূত করা হবে। পরিবেশগত মান এবং প্রভাব মূল্যায়নে এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম শক্তিশালীকরণের জন্য ডিজিটাল সমাধান করা হবে। অনলাইন পরিবেশগত ছাড়পত্র সনদ প্রদান এবং প্রক্রিয়া ট্র্যাকিং ব্যবস্থা সহজ করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে দুই মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা হতে যাচ্ছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় হবে প্রথম স্মার্ট মন্ত্রণালয়।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪
এমআইএইচ/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।