ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

মা হতে যাচ্ছে সিংহী, ডিম পেড়েছে উটপাখি ও ইমু

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৯ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৫
মা হতে যাচ্ছে সিংহী, ডিম পেড়েছে উটপাখি ও ইমু ছবি: দীপু মালাকার- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক থেকে ফিরে: বন্য প্রাণিকে বনের মুক্ত পরিবেশে দেখতে চান? তাহলে আর দেরি করা কেন! সপরিবারে চলে যান বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে। ঢাকা থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার উত্তরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে বাঘের বাজার।

সেখান থেকে তিন কিলোমিটার পশ্চিমেই এই সাফারি পার্ক। এখানে একটা দুটো নয়, নারী-পুরুষ মিলিয়ে মোট ১৩টি সিংহ রয়েছে।
 
মা হতে চলেছে একটি সিংহী। এজন্য দিনদশেক আগে আলাদা স্থানে রাখা হয়েছে সিংহীকে। একটি আলাদা ঘরে একাকী অবস্থান করছে সে। আজ থেকে তিন বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যখন এদের আনা হয় তখন  সিংহীটির বয়স ছিল মাত্র ১৮ মাস।
 
সাফারি পার্কে এবারই প্রথম কোনো সিংহী মা হতে যাচ্ছে। এজন্য ওর প্রতি সবার মনোযোগ। দেওয়া হচ্ছে বাড়তি পরিচর্যা। সার্বক্ষণিক  পর্বেক্ষণে রাখা হয়েছে ওকে।

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের কর্মকর্তা কৃষ্ণ কমল মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, ‘দিনদশেক আগে সিংহীকে অন্যদের থেকে আলাদা করে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। মাস দুয়েকের মধ্যে বাচ্চা দেবে সিংহীটি। ’
 
সাফারি পার্কে ডিম দেয়া শুরু করেছে উঠপাখি। পার্কে মোট ছয়টি উঠপাখি রয়েছে। এদের দুইটি পুরুষ। ২০ মে  একটি মেয়ে পাখি ডিম পেড়েছে। পার্কে কোনো উটপাখির ডিম পাড়ার ঘটনাও এটাই প্রথম।
 
ডিমগুলা পার্কের এগ ওয়ার্ল্ডে সংরক্ষণ করে রাখা হচ্ছে। উঠপাখিগুলেও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকেই আনা হয়েছে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে আনা। প্রতিটি উঠপাখির বয়স ৮ বছর।
 
একইভাবে ডিম দেয়া শুরু হরেছে ইমু। সাফারি পার্কে তিনটি ইমু রয়েছে। এদের একটি পুরুষ। প্রতিটি ইমু বছরে ৮ থেকে ৯টি ডিম দেয় বলে জানা গেছে। এরা খাবার হিসেবে নানা ধরনের সবজি, কলমি শাক, পালং শাক ও পোল্ট্রি ফিড পছন্দ করে।

উটপাখি ও ইমুর দেখভাল করেন জুনিয়র ওয়াইল্ড লাইফ অফিসার অনিমেষ রায়।
 
তিনি বলেন, ২০ তারিখে উটপাখি একটি ডিম দিয়েছে। প্রতিটি উঠপাখি ছয়টি ডিম দেবে। একই সঙ্গে  এবারই প্রথম ডিম দিচ্ছে ইমু। আমরা সব ডিম এগ ওয়ার্ল্ডে সংরক্ষণ করে রাখছি। ’
 
সাফারি পার্কে ময়ূরের জন্য আলাদা বিচরণকেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। এর ভেতরে কয়েকটি সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। সাঁকোর নীচে মাটিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে ময়ূর আর সাঁকোর উপর দিয়ে হেঁটে হেঁটে দর্শনার্থীরা ময়ূর দেখছেন।   এদের কয়েকটি মাটিতে বাসা বেঁধেছে। ময়ূরের বাচ্চাগুলোকে দেখা গেল মুরগির বাচ্চার মতই মায়ের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে  খাবার খুঁটে খেতে। সামান্য শব্দ হলেই মায়ের ডানার নিচে এসে লুকাচ্ছে ছোট বাচ্চারা।
 
তবে দু:সংবাদও আছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাফারি পার্কে প্রতিদিনই গুঁইসাপ এসে ময়ূরের ডিম ও ছোট বাচ্চা নিয়ে চলে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৫
এমআইএস/জেএম

** বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক: ঢাকার পাশেই বিনোদন স্বর্গ!

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।