ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

কুমীরও দেয় ডিগবাজি!

বাংলানিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৫
কুমীরও দেয় ডিগবাজি!

কুমীরের হেলেদুলে চলা দেখলে একটা কথাই মনে আসে—‘গদাই লস্করি চাল’। লম্ফঝম্প তার কম্মো নয় মোটে! এটাই সবার ধারণা।

তবে ধারণাটা যে ভুল তা এবার প্রমাণ হলো। এক কুমীরের কাণ্ড দেখে প্রাণিবিজ্ঞানীদের চক্ষু চড়কগাছ। তারা ওই কুমীরকেও দেখেছেন ঊর্ধ্বপানে ডিগবাজি দিতে। যাকে বলে ঊধ্বপানে উল্লম্ব লাফ সেটাই করেদেখিয়েছে এই কুমীর।

কুমীরটির এমনধারা উল্লম্ফন প্রতিভা দেখে স্বয়ং ন্যাশনাল জিওগ্রাফির বিজ্ঞানীদল কুবুল করতে বাধ্য হয়েছেন কুমড়োপটাশ মার্কা শরীর নিয়েও কুমীর অবলীলায় অ্যাথলেটিসিজমের চূড়ান্তটা দেখাতে সক্ষম। প্রাণিবিজ্ঞানী ট্রেভর ফ্রস্ট লিখেছেন: ‘Crocs are more athletic than you might think.’ ওই কুমীরটা যা করে দেখাল তা ট্রেভরের ভাষায়, ‘ভার্টিক্যাল টেক অফ’।   

আর এমন অলস-মন্থর নাদুস নুদুস বিপুল দেহখানি নিয়ে কুমীর তাহলে কী করে এমনধারা লাফায়? রহস্যটা তবে কি আসলে? ট্রেভর ফ্রস্ট তার কারণটা খুঁজে পেয়েছেন। তার মতো পুরোটাই ওর লেজের মহিমা: ‘...their tails could propel them in a perfectly vertical direction.’।

কুমীর সব সময়ই অলস গতিতে চলাফেরা করলেও যখন তার খিদে পায় বা যখন সে প্রচণ্ড রেগে যায় তখনই সে হয়ে ওঠে গতিদানব। ভয়ানক ক্ষিপ্রতা ভর করে তার সারাদেহে।

ক্ষুধার্ত কুমীর যখন জলের উপরে কোনো শিকারের অস্তিত্ব টের পায় তখন সে ঊর্ধ্বপানে লাফ দিয়ে শিকারকে মুহূর্তে গ্রাসে টেনে নেয়। লাফ দেবার আগে সে গতি সঞ্চারের জন্য লেজকে মোচড়াতে থাকে প্রথমে তারপর সোজা রকেটের গতিতে সোজা দেহকে টান টান করে উঠে যায় উপরে। তবে ট্রেভরর ভাষায়, ওর ওই লেজের ক্যারিশমাজনিত উল্লম্ফনটা অনেকটা সাবমেরিন থেকে ছোড়া টর্পেডোর মতো:  "Their tails propel them in the water like torpedoes from a submarine,"

যে কুমীরটির ভিডিও ধারণ করা হয়েছে সেটি একটা নোনা পানির কুমীর। তবে এমন লাফ সচরাচর চোখে পড়ে না। আর হ্যাঁ, কুমীর থেকে সাবধান। বাগে পেলে আপনাকেও সে তার ডিনার বানিয়ে ফেলতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ০১১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৫
জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।