ঢাকা: পৃথিবী ও পরিবেশ দুটোই বদলাচ্ছে প্রতিনিয়ত। আরও বদলাচ্ছে আবহাওয়ার গতিবিধি।
অাবার অনেক প্রাণীর অস্তিত্ব হয়তো আগে থেকেই ছিলো কিন্তু তা সামনে আসেনি।
গত কয়েক বছরে বিজ্ঞানীরা নতুন প্রজাতির কয়েকটি প্রাণী আবিষ্কার করেছেন। পরিচিত হয়ে নেওয়া যাক প্রাণিরাজ্যের নতুন অতিথিদের সঙ্গে-
ফিলোস্মিয়াম অ্যাকাথোরাইনাম
খোলসহীন শামুকের মতো প্রাণীটি জাপানের ওকিনাওয়ার সমুদ্রের গভীরে পাওয়া গেছে। লাল, নীল, হলুদ ও ক্রিম রঙের মিশ্রণের স্বচ্ছ এ প্রাণীর দৈর্ঘ্য মাত্র ২.৫ সেন্টিমিটার বা প্রায় এক ইঞ্চি।
চেরাক্স পালছার
এরা ইন্দোনেশিয়ার ক্রেফিশের একটি প্রজাতি। এদের দেহের আকৃতি বিভিন্ন রকমের হয়। নীল, বেগুনি, সাদা ও ম্যাজেন্টার সংমিশ্রণের চেরাক্স পালছার বর্তমানে এশিয়া, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার অ্যাকুরিয়ামের শোভাবর্ধনে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
আকার পরিবর্তনকারী স্পাইক ব্যাঙ
এ প্রজাতির ব্যাঙ প্রিস্টিম্যানটিস মিউটাবিলিস (Pristimantis mutabilis) নামে পরিচিত। বিপদ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে এরা দেহের আকার পরিবর্তন করে গোলাকার বলের মতো হয়ে যায়। ছোট এই ব্যাঙটি পাওয়া গেছে ইকুয়েডরে। পুরুষ ব্যাঙগুলো সাধারণত ০.৬৭ ইঞ্চি ও স্ত্রী ব্যাঙ প্রায় এক ইঞ্চি পর্যন্ত বড় হয়।
জায়ান্ট স্টিক ইনসেক্ট
অদ্ভুত এ পতঙ্গটির নাম জায়ান্ট স্টিক ইনসেক্ট বা ফ্রিজিনিস্ট্রিয়া ট্যামডিয়োয়েনসিস Phryganistria tamdaeoensis। নয় ইঞ্চি লম্বা এ পতঙ্গটি ভিয়েতনামে পাওয়া গেছে। ২০১৪ সালের আগ পর্যন্ত পতঙ্গটি বিজ্ঞানীদের চোখে পড়েনি।
স্পার্কলমাফিন স্পাইডার
রঙিন মাকড়শাটি আবিষ্কার হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলের ছাত্র মেডেলিন জিরার্ড মাকড়শাটির নাম দিয়েছেন স্পার্কলমাফিন স্পাইডার। এটি মূলত ম্যারাটাস জ্যাকটেটাস (Maratus jactatus) প্রজাতির মাকড়শা।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১৫
এসএমএন/এএ