গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক সমীর কুমার গোস্বামী বলেছেন, গত দু’দিনে বৃষ্টিপাতে জমিতে থাকা রোপা আমন ধানের তেমন ক্ষতি না হলেও আগাম শীতকালীন সবজির ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমান এখনও নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, টানা বর্ষণে গোপালগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন রাস্তায় জলবদ্ধতা ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে পৌর এলাকার বাড়ি ঘরে পানি ঢুকেছে।
গোপালগঞ্জ পৌরসভার মেয়র কাজী লিয়াকত আলী লেকু পৌর এলাকার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি ভূক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। এছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিতে কাঁচা সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
টানা বর্ষণে দিন মজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। বৃষ্টির কারণে তারা দুই দিন কোনো কাজ করতে পারছেন না। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ৫ম শ্রেণির মডেল টেস্ট পরীক্ষা বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থী না আসায় ক্লাস বন্ধ রয়েছে।
গোপালগঞ্জ পৌরসভার মেয়র কাজী লিয়াকত আলী লেকু বলেন, বৃষ্টিপাতের কারণে পৌর এলাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বেশ কিছু বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলেও তিনি জানান।
গোপালগঞ্জ আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান বলেছেন, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২৮৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৭
বিএস