সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ দাবানল থেকে সৃষ্ট ধোঁয়ার কারণে এমনটা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মেকার সারি গ্রাম থকে রক্তলাল কুয়াশার ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন একা উলান্ডারি নামে এক তরুণী।
এর জবাবে ২১ বছর বয়সী ওই তরুণী বলেন, এটা সত্য। আমি নিজের ফোনে ছবি ও ভিডিও ধারণ করেছিলাম।
সোমবারও (২৩ সেপ্টেম্বর) ওই এলাকায় একই অবস্থা ছিল বলে জানান একা।
টুইটারে শেয়ার করা আরেকটি ভিডিওতেও একই ধরনের লাল আকাশ দেখা গেছে। শেয়ারকারী লিখেছেন, এটা মঙ্গল গ্রহ নয়। এটা জামবি। আমরা মানুষদের পরিষ্কার বাতাস প্রয়োজন, ধোঁয়া নয়।
ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া বিষয়ক সংস্থা বিএমকেজি জানিয়েছে, স্যাটেলাইটের ছবিতে জামবি অঞ্চলে বেশ কয়েকটি উত্তপ্ত এলাকা ও গাঢ় কুয়াশা দেখা গেছে।
সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অব সোশ্যাল সায়েন্সের প্রফেসর কোহ তিয়েহ ইয়ং জানান, এমন ঘটনাকে ‘রেইলি স্ক্যাটারিং’ বলা হয়।
প্রতি বছরই ইন্দোনেশিয়ার আগুনে গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিশাল ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়। তবে, এ বছরের অবস্থা বেশি ভয়াবহ। ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার কিছু কিছু এলাকায় ব্যাপক হারে চলছে বনাঞ্চল ধ্বংস। ইন্দোনেশিয়ার সরকারি তথ্যমতে, এ বছর ইতোমধ্যে তিন লাখেরও বেশি হেক্টর বনভূমি আগুনে পোড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯
একে