দেশি প্রজাতির অন্য মাছগুলোর মতো এটিও বিলুপ্তির তালিকায় উঠে এসেছে ‘পারা পুঁটি’। এর বৈজ্ঞানিক নাম Puntius parrah।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. সহিদুর রহমান সিদ্দিকী এ মাছটি প্রসঙ্গে বাংলানিউজকে বলেন, এটি পুঁটি প্রজাতির মাছ। পুঁটি মাছকে শুধু একটি বিশেষ মাছ দিয়ে শনাক্ত করা হয়– তা কিন্তু নয়। যেমন ধরুন- পুঁটির মধ্যে রয়েছে সরপুঁটি, জাতপুঁটি, চোলাপুঁটি প্রভৃতি মাছ।
তিনি আরও বলেন, পারা পুঁটির বিশেষত হলো- এরা মিঠাপানির মাছ। এই মাছটি আমাদের সিলেট অঞ্চলের হাওর-বিলগুলোতে এক সময় পর্যাপ্ত সংখ্যায় পাওয়া যেতো। কিন্তু এখন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। সিলেট অঞ্চল ছাড়াও কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা জেলার হাওর-বিলে পাওয়া যায়। তবে প্রাপ্ততা কম।
দেশি মাছের সংকট সম্পর্কে এ কর্মকর্তা বলেন, এখন আর প্রাকৃতিক জলাভূমি নেই। বিগত দশ-পনের বছর আগেও আমাদের প্রাকৃতিক জলাভূমি যে মাছগুলো পাওয়া যেত এখন তার দেখাই পাওয়া যায় না। প্রাকৃতিক জলাভূমিগুলো নানা কারণে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ফলে মাছের প্রজনন দারুণভাবে বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে বলে জানান সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. সহিদুর রহমান সিদ্দিকী।
প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় এই ‘পারা পুটি’র দৈর্ঘ্য ১০ সেন্টিমিটার। এরা আকারে ছোট এবং চ্যাপ্টা ধরনের হয় বলে জানান সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. সহিদুর রহমান সিদ্দিকী।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯
বিবিবি/এএ