ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

বাড়ছে পদ্মার পানি, প্রকট হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২১
বাড়ছে পদ্মার পানি, প্রকট হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি

ঢাকা: পদ্মা নদীর পানি প্রতিদিনই আগের রেকর্ড ভাঙছে। বাড়ছে হু হু করে।

এছাড়া অন্যান্য নদ-নদীর পানি বেড়ে প্রকট আকার ধারণ করছে উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি।  

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, পদ্মার পানি গোয়ালন্দে বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগের দিনের চেয়ে যা তিন সেন্টিমিটার বেশি। প্রতিদিনই রাজবাড়ীর এই পয়েন্টে কয়েক সেন্টিমিটার করে পানির উচ্চতা বাড়ছে।  

শরিয়তপুরের সুরেশ্বর পয়েন্টে পদ্মার পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, যা আগের দিনের চেয়ে আট সেন্টিমিটার বেশি।  

এছাড়া অন্যান্য নদ-নদীর পানিও আগের দিনের চেয়ে কয়েক সেন্টিমিটার করে বেড়েছে। আত্রাইয়ের পানি সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, গড়াই নদীর পানি কুষ্টিয়ার কামারখালীতে ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, পাবনার মথুরায় যমুনার পানি ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ধলেশ্বরীর পানি টাঙ্গাইলের এলাসিনে বিপৎসীমার সাত সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং যমুনার পানি মানিকগঞ্জের আরিচায় বিপৎসীমার ছয় সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পাউবো জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীগুলোর পানির উচ্চতা স্থিতিশীল আছে, যা মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা নদীর পানির উচ্চতা হ্রাস পাচ্ছে ও পদ্মা নদীর পানির উচ্চতা বাড়ছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে।  

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানির উচ্চতাও বাড়ছে, যা বুধবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

মঙ্গলবারের মধ্যে পাবনা, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও শরীয়তপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সামান্য অবনতি হতে পারে। এ সময়ে পদ্মা নদী ভাগ্যকূল পয়েন্টে এবং শীতলক্ষ্যা নদী নারায়ণগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও ভারত আবহাওয়া অধিদপ্তরের গাণিতিক মডেলের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার নাগাদ দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয় প্রদেশগুলোতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আছে। এর ফলে বর্ণিত সময়ে এ অঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র এবং আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীগুলোর পানির উচ্চতা সময় বিশেষে দ্রুত বাড়তে পারে।  

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, বিভিন্ন নদ-নদীতে তাদের পর্যবেক্ষণাধীন ১০৯টি স্টেশনের মধ্যে সোমবার (২৩ আগস্ট) পানির উচ্চতা বেড়েছে ৫৮টি স্টেশনে। কমেছে ৪৭টি স্টেশনে পানির উচ্চতা। তিনটি স্টেশনের পানির উচ্চতা অপরিবর্তিত আছে। একটির তথ্য এখনো সংগ্রহ শুরু হয়নি। আর বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সাতটি স্টেশনের পানির উচ্চতা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২১
ইইউডি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।