কক্সবাজার: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে কক্সবাজারের উপকূল এলাকায় ছয় থেকে সাত ফুট উচ্চতায় প্লাবিত হয়েছে। জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালীর ধলঘাটা, সদর উপজেলার কুতুবদিয়া পাড়া, সমিতিপাড়ায় জোয়ারের পানি ঢুকেছে।
জেলা প্রশাসনের প্রাথমিক হিসেব মতে, কক্সবাজার জেলার ৪৭টি ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ইউনিয়নের দু'শত গ্রামেরও বেশি জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়। দুর্গত এলাকার অনেকেই এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে।
ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. আবু সুফিয়ান বাংলানিউজকে জানান, প্রাথমিক তথ্য মতে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জেলার ৪৭টি ইউনিয়নের পাঁচ হাজার ঘরবাড়ি আংশিক এবং ১৪ শ’ ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় দুই লাখ মানুষ।
তিনি বলেন, সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্ট, ডায়াবেটিস পয়েন্ট, হিমছড়ি ইনানী এবং টেকনাফের কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. হাবিব খাঁন জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি উচ্চতায় পানি উঠেছে। সাগর সংলগ্ন দ্বীপের চারদিকে সবকটি স্থাপনা পানিতে তলিয়ে গেছে।
এছাড়াও ঢেউয়ের তোড়ে দ্বীপে যাতায়াতের একমাত্র জেটিটির বিভিন্ন অংশে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়া জোয়ারের পানিতে ভেঙে গেছে দ্বীপের চারপাশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২২
এসবি/আরআইএস