সবুজ নরম ঘাসে হরিণের ছন্দময় ছুটে চলা দেখা গেলো ভোলার মনপুরার আলমনগর সংলগ্ন কেওড়া বনে। প্রতিদিন বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হরিণের পাল এভাবেই মুগ্ধ করে দর্শনার্থীদের।
স্থানীয়রা জানান, খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে ছুটে আসছে এসব হরিণ। হরিণের বিচরণ দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসছেন দর্শনার্থীরাও। তবে মাঝে মাঝে লোভী শিকারিদের হাতে মারাও পড়ছে এসব হরিণ।
বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষা জনপদ ভোলার মনপুরা উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের আলমনগরে রয়েছে বন বিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চল। বনের সৌন্দর্য বাড়াতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে হরিণ। আলমনগরের সংরক্ষিত এই বনাঞ্চলে বর্তমানে হাজার দুইয়েরও বেশি হরিণ রয়েছে। শুধু আলমনগর নয়, ঢালচর, জনতা বাজার ও প্রজেক্ট এলাকায় দেখা মেলে এসব হরিণের।
বুধবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বনাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে বনের চারপাশে হরিণের অবাধ বিচরণ। দল বেঁধে খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে চলে আসছে হরিণের পাল। এসব হরিণ দেখতে বাড়ছে মানুষের ভিড়।
খুব কাছ থেকে হরিণ দেখে ক্যামেরাবন্দি করছেন আগ্রহীরা। ছোট-বড় ও মাঝারি সাইজের চিত্রা প্রজাতির এ হরিণের ছুটে চলা মুগ্ধ করছে সব দর্শনার্থীদেরই। হরিণের বিচরণকে কেন্দ্র সেখানে গড়ে উঠতে পারে পর্যটন কেন্দ্র।
আবুল কালাম ও সোহাগ নামে স্থানীয়রা জানান, খুব কাছ থেকে হরিণ দেখতে প্রতিদিন হাজারো মানুষ ভিড় জমান আলমনগরে। তবে চোরা শিকারিরা মাঝে মধ্যে হরিণ শিকার করে মাংস পাচার করে। এ কারণে বনের হরিণ অনিরাপদ হয়ে পড়ছে।
স্থানীয়রা আরও জানান, বর্ষায় জোয়ারের পানিতে হরিণের বাসস্থান ডুবে গেলে এবং শীতে খাদ্য ও মিঠা পানির সংকট দেখা দিলে হরিণেরা লোকালয়ে চলে আসে।
এ ব্যাপারে ভোলার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, হরিণ সংরক্ষণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ২টি মিঠা পানির পুকুর তৈরি করা হয়েছে। আরও কিছু পুকুর কাটার পরিকল্পনা হয়েছে, বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু হবে। বনের খাদ্য সংকট দূর করতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। হরিণ যেন শিকার না হয় সেদিকে বাড়তি নজরদারির হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৭
এমজেএফ