লক্ষ্মীপুর: জন্ম তালুকদার বংশে। পূর্ব পুরুষের তালুক ছিল।
১৫ বছর আগে মফিজুলের বাড়ি ছিল মেঘনার উপকূলীয় এলাকা লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের চরফলকন ইউনিয়নের লুধুয়ার বাজারের পশ্চিমে। বাড়িটি যেখানে ছিল, সেখানে এখন উত্তাল মেঘনা। বর্তমান লুধুয়া বাজার থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে ছিল তার বাড়িটি।
মফিজুল ইসলাম ভূমিহীন হয়ে এখন বসবাস করছেন বেড়িবাঁধের পাশে। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের পূর্ব চর রমনী মোহন গ্রামের মাতাব্বর হাট এলাকার বাসিন্দা তিনি। পরিবার পরিজন নিয়ে সেখানেই থাকেন। স্থানীয় পাঞ্জেগানা মসজিদে ইমামতি করেন।
সম্প্রতি মফিজুল ইসলামের সঙ্গে দেখা হয় তার পূর্ব পুরুষদের এলাকা কমলনগরের লুধুয়া মাছঘাটে। বসতভিটার অস্তিত্ব আর নেই। তবে আত্মীয়-স্বজনদের অনেকে বসবাস করেন লুধুয়াতে। মেঘনা তালুকদার বংশের সবাইকে ছিন্ন-ভিন্ন করে দিয়েছে।
মফিজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ১৫ বছর আগে আমাদের বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আমার আড়াই একর জমি ছিল, সবই গেছে নদীতে। তালুকদার বংশে জন্ম নিলেও মেঘনার কারণে আজ আমিসহ অনেকেই ভূমিহীন। এক সময় আমাদের নামের পাশে তালুকদার বসানো হতো। এখন লাগানো হয় ভূমিহীন। রাক্ষসী মেঘনা সব খেয়ে নিয়েছে।
তিনি বলেন, এখন মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের কাজ চলছে। তাই কাজ দেখতে এসেছি। কাজটা যেন দ্রুত এবং টেকসই হয়। তবে কাজের ধরন দেখে কিছুটা আশাহত হয়েছি।
মফিজুল ইসলামের বেয়াই আবুল বাশার বাংলানিউজকে বলেন, আমার বাড়ি মেঘনা নদীর খুব কাছে। বাড়ির পাশ দিয়ে বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু নির্মাণ কাজের ধরন দেখে আমরা ভরসা পাচ্ছি না। উত্তাল মেঘনা প্রতিদিনই কোনো না কোনো এলাকা কেড়ে নিচ্ছে। আমাদের বসতিটা যদি না টেকে, তাহলে আমরাও আমার বেয়াইয়ের মতো ভূমিহীন হয়ে যাব।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৩
এসআই