ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কর্পোরেট কর্নার

খাদ্য নিরাপত্তায় অ্যাগ্রিকালচারের মেকানাইজেশন প্রয়োজন: মাতলুব আহমাদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৩
খাদ্য নিরাপত্তায় অ্যাগ্রিকালচারের মেকানাইজেশন প্রয়োজন: মাতলুব আহমাদ

ঢাকা: বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের জন্য অ্যাগ্রিকালচারের মেকানাইজেশন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ।

ইন্দো-বাংলাদেশ এগ্রি-মেকানাইজেশন সামিট উপলক্ষে শনিবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সামিট চলাকালীন অনেকগুলো সমঝোতা স্মারক চুক্তি (এমওইউ) হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর (সিআইআই) সিনিয়র ডিরেক্টর মনীশ মোহন ও ভারতের কোম্পানি এসিই লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) অশোক অনন্তরামন প্রমুখ।

আইবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, বাংলাদেশ একটি কৃষিনির্ভর দেশ। বাংলাদেশ কৃষি গোড়পতন জাতির জনকের হাত ধরে শুরু। তারপরও ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো অব্যাহত রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বর্তমান সরকার কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে জমি চাষে ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে কৃষিযন্ত্র ব্যবহার করা হলেও চারা রোপণের ক্ষেত্রে ব্যবহারের হার তিন শতাংশেরও কম। অন্যদিকে, ফসল কাটার জন্য ১০ শতাংশ হারভেস্টার ব্যবহার হলেও ধান মাড়াইয়ের ক্ষেত্রে ৯৫ শতাংশ যান্ত্রিক থ্রেসার ব্যবহার করে থাকে। কৃষি পণ্য উৎপাদনে সবক্ষেত্রে কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে উৎপাদন খরচ বহুলাংশে কমবে, কৃষক বিপুলভাবে লাভবান হবে ও উৎপাদন বাড়বে। এতে করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।  

তিনি আরও বলেন, তৈলজাতীয় বীজ যেমন সরিষা, সূর্যমুখীর বিপুল পরিমাণে দেশে চাষ হলেও যথাযথ ক্রাসার মেশিনের অভাবে প্রয়োজনীয় তেল আহরন সম্ভব হচ্ছে না। এক্ষেত্রে যথাযথ ক্রাসার মেশিনের অভাব দীর্ঘদিন ধরে অনুভূত হচ্ছে। এখানে যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে কৃষি যন্ত্রপাতি প্রস্তুত করে দেশের চাহিদা মেটানো হবে এবং বিদেশে রপ্তানি করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৩
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।