ঢাকা: বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এলএফএমইএবি) এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ লেদার ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার গুডস ইন্টারন্যাশনাল সোর্সিং শো (ব্লিস)।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ব্লিস প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বর্তমানে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী রপ্তানি পণ্য হলো চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। আন্তর্জাতিক মার্কেটে এসব পণ্যের সম্ভাবনার ব্যাপারে প্রদর্শনীতে আলোচনা করেন এলএফএমইএবি-এর প্রেসিডেন্ট ও এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর। সেইসঙ্গে, সাপ্লাই চেইনের পাশাপাশি সাভারের সিইটিপির কার্যক্রম এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে লিড টাইমসহ বিভিন্ন উদ্বেগের কথাও তুলে ধরেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে কেবল জুতা তৈরির সস্তা গন্তব্য হিসেবে দেখা উচিত নয়, কেননা এটি আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখছে এবং খরচও ক্রমশ বাড়ছে। আমাদের কর্মশক্তির মৌলিক চাহিদা মেটাতে হবে।
শিল্পে সহযোগিতা এবং উন্নয়নের লক্ষ্যে সব রপ্তানি শিল্পের জন্য একই নীতির সমন্বয়, আগামী ৫ বছরের জন্য সব রপ্তানি খাতের জন্য শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ দীর্ঘমেয়াদি রপ্তানি করের হার নির্ধারণ, পুনঃরপ্তানির জন্য ব্যবহৃত সমস্ত শিল্প কাঁচামালের জন্য মোট আমদানি করের এক শতাংশ সমতল হার দ্রুত বাস্তবায়ন, উন্নত দেশগুলোতে স্বচ্ছ এবং টেকসই সাপ্লাই চেইনের জন্য উচ্চ স্তরের কমপ্লায়েন্স ও সার্টিফিকেশনের বাস্তবায়ন এবং দীর্ঘমেয়াদি ম্যাচিং ফান্ড সুবিধা তৈরিসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বেশ কিছু অনুরোধ জানান সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর।
তাকে আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চামড়া শিল্পের উন্নতির জন্য একটি চামড়া শিল্প উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের ঘোষণা দেন।
তিনি জানান, চামড়া শিল্পের উন্নয়নে সুপারিশ এবং কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য সরকার ইতোমধ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। এছাড়াও চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উন্নয়ন নীতি-২০১৯ প্রণয়ন করা হয়েছে। এলাকা ভিত্তিক ট্যানারি শিল্পের উন্নয়নের মাধ্যমে চামড়া সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ এবং ব্যবহার বাড়ানোর আশাও প্রকাশ করেন তিনি। পাশাপাশি কর্তৃপক্ষকে দ্রুত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ক্রমবর্ধমান সরবরাহের সম্পূর্ণ অংশের বিপরীতে প্রস্তুত পণ্য উৎপাদন এবং রপ্তানি করতে পারলে, ২০২৫ সালের মধ্যে সহজেই আমরা জুতা এবং চামড়াজাত পণ্য খাত থেকে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় অর্জন করতে পারবো।
এবারের বাংলাদেশ লেদার ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার গুডস ইন্টারন্যাশনাল সোর্সিং শো-তে দেশ-বিদেশের মোট ৪৬টি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে আয়োজিত প্রদর্শনীর পাশাপাশি, তিনটি ব্রেকআউট সেশন পরিদর্শন করেছে ২০০-এর বেশি শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, নীতিনির্ধারক এবং দেশি-বিদেশি অতিথিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২৩
আরআইএস