ঢাকা: ক্ষেত ভরা তরতাজা ক্যাপসিকাম প্রথমবার চাষ করেছিলেন জামালপুরের ইসলামপুরের কৃষক হৃদয় হাসান। তবে সবজির চাহিদা না থাকায় বিক্রি করতে না পেরে হতাশায় ভেঙে পড়েছিলেন তিনি।
তরুণ এ কৃষকের ক্যাপসিকামগুলো অবশেষে বিক্রি হয়েছে। সম্প্রতি স্বপ্ন’র একটি টিম কৃষকের সঙ্গে কথা বলে সেদিনই ২৫০ কেজি ক্যাপসিকাম কিনে নেন এবং পরের দিন আবার বাকি সব ক্যাপসিকাম কেনার বিষয়ে কথা সম্পন্ন হয়। এখন থেকে তার উৎপাদিত ক্যাপসিকাম চলে যাবে স্বপ্ন’র আউটলেটে।
এর আগে মার্চ এর প্রথম সপ্তাহে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে ‘ক্যাপসিকামের ব্যাপক ফলন, বিক্রি করতে না পেরে কাঁদছেন কৃষক’ এ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদের পড়ে প্রতিনিধির মাধ্যমে সেই কৃষকের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্বপ্ন’র টিম।
স্বপ্ন’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির জানান, আমরা ওই কৃষকের কথা জানতে পেরেছি নিউজের মাধ্যমে। এরপরই আমাদের টিম সেখানে পৌঁছে যায়। তার প্রোডাক্ট আমরা এরইমধ্যে কিনে নিয়েছি। কৃষকদের এ সংকটে তাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়বে ‘স্বপ্ন’ । যেখানেই সংকট আর বিপর্যয় কৃষকের জন্য কাল, সেখানেই পৌঁছে যাবে ‘স্বপ্ন’ ।
এ প্রসঙ্গে স্বপ্ন’র হেড অব পার্চেজ সাজ্জাদুল হক বলেন, সংকটটা ছিল ভিন্ন রকম। বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর দেখার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে, এ কৃষকদের পাশে আমরা দাঁড়াবো। দুঃসময়ে কষ্টে থাকা অনেক কৃষকদের পাশে ‘স্বপ্ন’ এর আগেও দাঁড়িয়েছে। সামনেও পাশে থাকবে।
কৃষক হৃদয় হাসান জানান, জমি থেকে আজ ক্যাপসিকামগুলো বিক্রি করতে পেয়ে খুবই আনন্দ লাগছে। গাছে আগে বেশি ক্যাপসিকাম ছিল, সে সময় বিক্রি না করতে পেরে অনেক ক্যাপসিকাম নষ্ট হয়েছে। আগে আমি বিক্রির জায়গা খুঁজে পাইনি। প্রতিটি গাছে তিন-চার কেজি করে ফল থাকার কথা ছিল কিন্তু সেটা নেই। এখন প্রতি গাছে এক কেজি মতো ক্যাপসিকাম রয়েছে। সেটা বিক্রি করতে পেরে ভালো লাগছে। স্বপ্নকে ধন্যবাদ দুঃসময়ে আমার পাশে থাকার জন্য।
প্রসঙ্গত, কৃষক হৃদয় হাসান বেকারত্ব দূর করতে ক্যাপসিকাম চাষ করেন। তবে ক্যাপসিকামের চাহিদা না থাকায় বিক্রির বাজার না পেয়ে হতাশা হয়ে পড়ে কৃষক পরিবারটি। বিক্রি সঠিক সময় না করতে পেরে খেতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল অনেক ক্যাপসিকাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২৪
আরআইএস