ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কর্পোরেট কর্নার

 ২৬ নারী পেলেন ‘ইন্সপায়ারিং উইমেন অ্যাওয়ার্ড’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২৪
 ২৬ নারী পেলেন ‘ইন্সপায়ারিং উইমেন অ্যাওয়ার্ড’

মর্যাদাপূর্ণ উইমেন ইন লিডারশিপের (উইল) ফ্ল্যাগশিপ আয়োজন ‘ইন্সপায়ারিং উইমেন অ্যাওয়ার্ড’র অষ্টম আসরে দেশের ২৬ নারীকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।  

গত শনিবার (৯ মার্চ) রাজধানীর র‌্যাডিসন ব্লু হোটেলে জাঁকালো অনুষ্ঠানে এ অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয়।

 

লিডারস অব টুমোরো (সম্ভাবনাময়ী শিক্ষার্থী)-সহ মোট ২৬ নারী ১১টি বিভাগে সম্মাননাটি পেয়েছেন। এর মধ্যে ১৩ জন বিজয়ী এবং ১৩ জন অনারেবল মেনশন হিসেবে পুরস্কারটি পেয়েছেন।  

ইন্সপায়ারিং উইমেন অ্যাওয়ার্ড হলো আকিজ টেবিলওয়্যার নিবেদিত পঞ্চম উইলফেস্টের একটি অংশ, যার সঞ্চালনায় ছিল আরএফএল হাউসওয়্যার এবং সহযোগিতায় স্কয়ার ফুড অ্যা ন্ড বেভারেজ লিমিটেড ও দ্য ডেইলি স্টার। এই বছরের উইল ফেস্টে উইমেন ইন লিডারশিপের এক দশক উদযাপন করা হয়।  

উইল ফেস্টিভালের এ বছরের থিম ‘পারসুট অব উইমেনস ইকোনমিক ইনডিপেনডেন্স’। অর্থাৎ ‘নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতার অন্বেষণ’। এবারের উইলফেস্ট নারীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের বহুমুখী সম্ভাবনা তুলে ধরে।

এ বছর সম্মাননাটির জন্য দেশব্যাপী বিপুল সংখ্যক মনোয়নন জমা পড়ে। ১১টি বিভাগের অধীনে শতাধিক সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠান থেকে ২৫০টিরও বেশি আবেদন গৃহীত হয়। দেশের শীর্ষ ক্যাটাগরি বিশেষজ্ঞ এবং স্বনামধন্য পেশাজীবী ব্যক্তিদের তিনটি জুরি প্যানেল বিজয়ীদের বাছাই করে এবং তাদের ‘অনারেবল মেনশন’ ও ‘বিজয়ী’ এই দুটি ভাগে পুরস্কৃত করে।  

উদ্বোধনী বক্তৃতায় উইমেন ইন লিডারশিপের প্রেসিডেন্ট নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা বলেন, ‘যে কোনো পেশাদার নারীর স্বীকৃতি লাভের জন্য ইন্সপায়ারিং উইমেন অ্যাওয়ার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই স্বীকৃতির মাধ্যমে তাদের সম্ভাবনা অন্যদের কাছে আরও বেশি দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। উইল ইন্সপায়ারিং উইমেন অ্যাওয়ার্ড শুধু যোগ্যদেরই পুরস্কৃত করে না, বরং একটি প্রতিষ্ঠানের অধীনে নারীর অধিকন্তু উন্নয়নের জন্যেও কাজ করে। ’

এক দশক ধরে উইল পেশাজীবী নারীদের তাদের ক্যারিয়ারে নেতৃত্বগুণ অনুশীলনে উৎসাহিত করে আসছে। ২০১৪ সালে প্রথম ইন্সপায়ারিং উইমেন অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। তখন থেকেই এই সম্মাননাটির লক্ষ্য ছিল দেশের অগ্রগতিতে নারীদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া। পাশাপাশি ক্ষমতায়নের মাধ্যমে সমাজে তাদের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।  

অনুষ্ঠানে দেশের কর্পোরেট ও উন্নয়ন খাতের শীর্ষ পেশাজীবী, সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, শিল্পী, কর্মী, বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ও নীতি নির্ধারকরা অতিথি হিসেবে অংশ নেন।  

আয়োজনে দুটি কিনোট সেশন, চারটি প্যানেল ডিসকাশন, একটি ইনসাইট সেশন এবং উইলের ১০ বছরের যাত্রা উদযাপনে প্রেসিডেন্ট নাজিয়া আন্দালিব প্রিমার একটি বিশেষ সেশনের সমন্বয় ছিল।  

সামিটের কিনোট সেশনের বক্তারা হলেন প্রফেসর তুলসী জয়কুমার, (এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, সেন্টার ফর ফ্যামিলি বিজনেস অ্যান্ড এন্টারপ্রেনিউরশিপ, এস.পি. জৈন ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চ, ভারত) এবং ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর (অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, ডিপার্টমেন্ট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)।

সামিটের অন্য সম্মানিত বক্তারা ছিলেন জারা জাবীন মাহবুব (এমপি), দিমিত্র নিকলোপৌলু (পারফরম্যান্স আর্টিস্ট, গ্রিস), জাহিদা ফিজা কবির (সিইও, সাজিদা ফাউন্ডেশন), মো. তাজদীন হাসান (চিফ বিজনেস অফিসার, দ্য ডেইলি স্টার), সাদ জসীম, (এরিয়া হেড অব ট্যালেন্ট, কালচার অ্যান্ড ইনক্লুশন- এপিএমইএ সেন্ট্রাল, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, বাংলাদেশ), নাজিম ফারহান চৌধুরী, (ম্যানেজিং ডিরেক্টর, অ্যাডকম লিমিটেড), প্রফেসর ইমরান রহমান (ভাইস চ্যান্সেলর, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ), নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা (ভিজ্যুয়াল আর্টিস্ট ও প্রেসিডেন্ট, উইমেন ইন লিডারশিপ)।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২৪
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।