ঢাকা: গাজাবাসীর জন্য ত্রাণসেবায় নিয়োজিত মোজোর ১০ স্বেচ্ছাসেবী ইসরায়েলি বোমা হামলায় শহীদ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (০৯ অক্টোবর) মোজো থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচেও যখন জীবনের ক্ষীণ আলো টিকে আছে, তখন সেই আলোকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রায় দেড় বছর ধরে নিরলসভাবে পাশে থেকেছে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড মোজো।
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাবাসীর পাশে দাঁড়িয়ে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে তারা চালিয়ে যাচ্ছে খাদ্য, ত্রাণ ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণের কার্যক্রম। কিন্তু সেই মহৎ কাজের মাঝেই নেমে আসে এক হৃদয়বিদারক ট্র্যাজেডি।
মোজোর অর্থায়নে পরিচালিত খাদ্য প্রস্তুত ও বিতরণ কার্যক্রমে নিয়োজিত ছিলেন গাজার একদল স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী। গাজার ক্ষুধার্ত শিশুদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য যারা নির্ভিকভাবে কাজ করছিলেন সেইসব মানুষদের ওপর বর্বর হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।
এ নির্মম হামলায় মোজোর ১০ জন সাহসী স্বেচ্ছাসেবী শহীদ হন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) এই মহান শহীদরা হলেন, আলহাজ্ব জুম'আ শুররাব, মাহমুদ, উসামা, আহমাদ, আবুল ইয উক্কাদ আহমাদ, যাকারিয়া শিব্বির, আল ইযযিদ্দির, ইবরাহিম, আব্দুহ শুররাব ও মুহাম্মদ জুম'আ। তারা সবাই ছিলেন ফিলিস্তিনের নাগরিক যারা অন্যদের মুখে আহার তুলে দিতে নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করেছিলেন।
এ হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ডে গভীর শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়ে মোজো কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘এই ১০ বীর শহীদের আত্মত্যাগ মানবিকতার ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমরা তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। ইসরায়েলের এমন নৃশংসতা আমাদের সংকল্পকে ভাঙতে পারবে না। গাজাবাসীর পাশে মোজো আরও শক্তভাবে থাকবে, ইনশাআল্লাহ। ’
মানবিকতা, সাহস ও আত্মত্যাগের প্রতীক হয়ে এ শহীদ স্বেচ্ছাসেবীরা আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়। তাদের রক্ত বৃথা যাবে না। তাদের স্বপ্ন ও আদর্শকে বুকে ধারণ করে এগিয়ে যাবে গাজা সহায়তা কার্যক্রম বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরআইএস