চট্টগ্রাম: ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে দলের স্পিন বোলিং কোচ যে আত্মবিশ্বাস নিয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন তার প্রতিফলন দেখা গেল না ম্যাচে। সেই পুরোনো পথে হেঁটেছে দল।
দলীয় ১৭ রানের ভেতর সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। এরপর দলের হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। তাদের ৯৮ রানের জুটিতে অনেকটা স্বস্তি ফিরে টাইগার শিবিরে। দলীয় ১১৫ রানে শান্ত ৫৩ করে রান আউট হলে বেশি দূর যেতে পারেননি সঙ্গী মুশফিকও। আদিল রশিদের গুগলিতে বোল্ড হন তিনি। তাকে থামতে হয় ৯৩ বলে ৬ চারে ৭০ রান করে। এদিন আগের দুই ম্যাচে রান করা ইনফর্ম মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও সাজঘরে ফিরেন মাত্র ৮ রানে। রশিদের ৩৫ তম ওভারের তৃতীয় বলে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে ছক্কা মারেন মাহমুদউল্লাহ। এর পরের বলেই আউট হলেন তিনি। মুশফিকের পর মাহমুদউল্লাহকেও বোল্ড করলেন রশিদ। অল্প সময়ে দলের দুই অভিজ্ঞের বিদায়ে কিছুটা চাপে পড়েন বাংলাদেশ।
পরে অফিফ হোসেনকে সঙ্গে দিয়ে এগোতে থাকেন সাকিব আল হাসান। প্রথম ৩৪ বলে ২৫ রান করা সাকিব ফিফটি পূর্ণ করলেন ৫৫ বলেই। মার্ক উডের বলে লেগ সাইডে এক রান দিয়ে নিজের ৫২ তম অর্ধশতক পূরণ করেন তিনি। আগের ম্যাচেও অর্ধশতকের দেখা পেয়েছিলেন সাকিব। একপ্রান্ত সাকিব আগলে থাকলেও অন্য প্রান্তে চলে আসা-যাওয়ার মিছিল। ক্রিস ওকসের বলে কাভারে মঈন আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন আফিফ। সাকিবের সঙ্গে তার জুটি থামলো ৪৯ রানেই। দলীয় ৪৯ তম ওভাবে জফরা আর্চারের পঞ্চম বলে জেসন রয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সাকিবও। তিনি করেন ৭৫ রান। ৭১ বলের ইনিংসে সাকিব চার মেরেছেন ৭টি।
এর আগে রেহান আহমেদের করা দশম ওভারের শেষ বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ৫ রান করে ফিরেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৪৬ তম ওভাবে আর্চারের ধীরগতির বাউন্সারে আর্চারের হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তাইজুল।
ইংল্যান্ডের জফরা আর্চার ৮ ওভার ৫ বলে করে ৩৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। এছাড়া আদিল রশিদ ও স্যাম কারান প্রত্যেকে নিয়েছেন ২ টি করে উইকেট। ক্রিস ওকস, রেহান আহমেদের ঝুলিতে এসেছে আরও ১ করে ইউকেট।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২৩
এমআর/টিসি/এএইচএস