প্রথম ম্যাচ জয়ের পর থেকেই বিশ্বাসটা বেড়েছিল। এরপর ইংল্যান্ডকে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১১৭ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ম্যাচ জেতার পর সিরিজ নিশ্চিত করে সংবাদ সম্মেলনে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাকেই করা হয় প্রশ্নটি। প্রথম ম্যাচে একাদশে সুযোগ না পেলেও দ্বিতীয়টিতে ম্যাচ-সেরা হয়েছেন। এই ক্রিকেটার জানিয়েছেন, প্রথম ইনিংসের পর দলের বার্তা ছিল খুশি না হওয়ার।
তিনি বলেন, ‘একটা জিনিস হয় না, অনেকে খুশিতে যে আমরা ওদের ১১৭ রানে অলআউট করে দিয়েছি, অনেক খুশি। ড্রেসিং রুমে বারবার অধিনায়ক বলছিলেন যে, খুশি হওয়ার কিছু নেই। খেলাটা শেষ হবে, তারপর আমরা উপভোগ করব। তবে প্রতিটা রান, প্রতিটা মোমেন্ট আমরা যেন সিরিয়াস থাকি এবং সবাই যেন উপভোগ করি। মাঠে যারা খেলছে তাদের সাপোর্ট করি। এজন্য অনেকটা সহজ হয়ে গেছে। ’
‘ওরা কিন্তু শুরুটা খুব ভালো করেছে। ওদের প্রথম ৬ ওভারে ৫০ রান ছিল। তবে সাকিব ভাই একটা ব্রেক থ্রু এনে দিলেন, এরপর হাসান মাহমুদ উইকেট নিল। তারপর আমি আবার ওখান থেকে যে ব্যাক টু ব্যাক উইকেট নিলাম, এই জিনিসটা ওদের মোরালি অনেক ডাউন করেছে। একটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এক ওভার, দুই ওভার পরপর উইকেট গেলে একটা দলের জন্য অনেক কঠিন হয়ে যায়, জুটি না হলে। ওরা সেখানে ভুলটা করেছে। ওরা যদি ভুল না করত, উইকেট না পড়ত, তাহলে দেখা যেত ১৬০+ রান হতো। ’
নিজেদের বোলারদেরও কৃতিত্ব দিতে ভুলেননি মিরাজ, ‘আমাদের বোলারদের অবশ্যই কৃতিত্ব দিতে হবে। সাকিব ভাই দুর্দান্ত বোলিং করেছে, হাসান মাহমুদ যে বাটলারের উইকেটটা নিয়েছে। মাঝখানে আমি সাপোর্ট দিয়েছি, মোস্তাফিজ সাপোর্ট দিছে। ওভারঅল আমাদের বোলার যারা ছিল, তাসকিন শুরুতে খুব ভালো করেছে। সবমিলিয়ে আমাদের বোলাররা খুব ভালো করেছে। ’
ইংল্যান্ডকে সিরিজ হারানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রথমবার ইংল্যান্ডের সঙ্গে জিতেছি, তাও টি-টোয়েন্টিতে। এর আগে আমরা ওদের সাথে সিরিজ জিতিনি। ওরা তো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দল। তো ওদেরকে হারাতে পেরে অবশ্যই নিজেদের কাছে অনেক ভালো লাগছে। আর সবচেয়ে বড় কথা যেটা, ওদের সঙ্গে আমাদের অত বেশি খেলার সুযোগও হয় না। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে। আমি ভুল করব কি না জানি না, ২০ বছরে মনে হয় না ১০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলেছি ওদের সাথে। ৩টা খেলেছি। এটা প্রথম সিরিজ ছিল। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া আমি মনে করি। যেহেতু আমরা সিরিজটা জিতেছি। ’
একাদশে সুযোগ পেয়েই ম্যাচসেরা হওয়া প্রসঙ্গে মিরাজ বলেছেন, ‘টিম ম্যানেজমেন্ট আমার ওপর ভরসা করেছে। আমাকে খেলিয়েছে এই ম্যাচে। মনে করেছে, আমি এই ম্যাচে খেললে দলকে কিছু একটা দিতে পারব, বিশেষ করে এই উইকেটে। তারা যে আমার ওপর বিশ্বাসটা করেছে, তার প্রতিদান দিতে পেরে নিজের কাছে খুবই ভালো লাগছে। ’
বাংলাদেশ সময় : ২১১৪ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২৩
এমএইচবি/এএইচএস