প্রথম ওভারেই ওপেনিং সঙ্গীকে হারানোর পর হাল ধরেছিলেন ইংল্যান্ডের ওপেনার দাভিদ মালান। এরপর অধিনায়ক জস বাটলারকে নিয়ে গড়া তার জুটিতে চালকের আসনে বসে ইংল্যান্ড।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১০২ রান তুলেছে ইংলিশরা।
বাংলাদেশের ছুড়ে দেওয়া ১৫৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় ইংলিশরা। প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় তারা। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা তানভীর ইসলামের হাতে শুরুতেই বল তুলে দেন টাইগার দলপতি সাকিব আল হাসান। বিপিএল রাঙানো তরুণ স্পিনার অধিনায়কের ভরসার প্রতিদানও দেন হাতেনাতে। তুলে নেন ফিল সল্টের উইকেট।
ইনিংসের তৃতীয় বলে অফ স্টাম্পের বাইরে বল পিচ করান তানভীর। তা ড্রাইভ করার চেষ্টা করেন সল্ট। কিন্তু বল তার ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে চলে যায় লিটন দাসের গ্লাভসে। সল্ট কিছুটা বেরিয়ে আসায় স্টাম্পিং করতে কোনো ভুল করেননি লিটন। ফলে গোল্ডেন ডাক মেরেই বিদায় নেন সল্ট। এরপর মালান ও বাটলার মিলে গড়েন ৯৫ রানের জুটি। ১৩তম ওভারে এসে এই জুটি ভাঙে মোস্তাফিজের জোড়া আঘাতে। এর আগে অবশ্য ফিফটির দেখা পান মালান। তাকে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান ফিজ। পরের বলেই মিরাজের সরাসরি থ্রোয়ে ফেরেন বাটলার (৪০)।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাট করে ২ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় স্বাগতিকরা।
এ ম্যাচের একাদশে দুই পরিবতর্ন নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ। তানভীর ইসলামের অভিষেক হয় নাসুম আহমেদের জায়গায়, আফিফ হোসেনের জায়গা নেন শামীম পাটোয়ারী।
ব্যাটিংয়ের শুরুটা দারুণ হয় বাংলাদেশের। স্যাম কারানের তৃতীয় বলে চার হাঁকিয়ে শুরু করেন রনি তালুকদার। এরপর তিন ওভারে বাংলাদেশ তুলে ২৩ রান। সময়ের সঙ্গে অবশ্য রানের গতিতে কিছুটা লাগাম টানতে হয়। রনি ভুগেছেন জফরা আর্চারের পেস ও আদিল রশিদের স্পিনে।
মাঝে একবার জীবনও পান তিনি। তবে এই ব্যাটারের আত্মবিশ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। ইনিংসের অষ্টম ওভারে এসে যখন তিনি আউট হন, ততক্ষণে বাংলাদেশ পেয়ে গেছে ৫৫ রানের উদ্বোধনী জুটি। রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে টাইমিংটা ঠিকঠাক মতো হয়নি রনির, ৩ চারে ২২ বলে ২৪ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি।
লিটন দাস অবশ্য সফল ছিলেন এই শটে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির আগে অনুশীলনে সুইপ ও রিভার্স সুইপ অনুশীলনে ব্যস্ত থাকা এই ব্যাটার ম্যাচেও খেলেছেন ভালোভাবে। আর তিনি ফর্মে থাকলে তার শট বরাবরই দেখার মতো। সব মিলিয়ে সময়ের সঙ্গেই লিটন আরও বেশি আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন।
তার সঙ্গে ইনফর্ম নাজমুল হোসেন শান্তও করেছেন দারুণ ব্যাটিং। বড় শট খেলেছেন, রানও তুলেছেন প্রয়োজন মিটিয়ে। লিটন দাসের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৫৮ বলে ৮৪ রানের। এই জুটির ৪৮ রান আসে লিটনের ব্যাট থেকে, এই ব্যাটার দেখা পান হাফ সেঞ্চুরিরও। ১০ চার ও ২ ছক্কার ইনিংসে ৫৭ বলে ৭৩ রান করেন লিটন, শেষ ৮ বলে অবশ্য করেন কেবল ৩ রান। ক্রিস জর্ডানের স্লোয়ারে মিডউইকেটে পাতা ফাঁদে পা দেন লিটন।
শুরুর আশা জাগানিয়া ব্যাটিং অবশ্য শেষে এসে হতাশই করেছে। লিটনের আউটের পর সাকিব আল হাসান ও শান্ত রান তুলতে পারেননি। শেষ ৫ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে কেবল ২৭ রান। ২ চার ও ২ ছক্কায় ৩৬ বলে ৪৭ রান করে শান্ত ও সাকিব ৬ বলে ৪ রান করে অপরাজিত থেকেছেন। ইংলিশদের পক্ষে ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়েছেন আদিল রশিদ, ৩ ওভারে ২১ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন ক্রিস জর্ডান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৩
এমএইচএম