বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ঘরের মাটিতে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবিয়েছে বাংলাদেশ। ঐতিহাসিক এই সিরিজ জয়ের পর র্যাংকিংয়ে উন্নতি হয়েছে সাকিববাহিনীর।
ইংলিশদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজটির আগে র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল নবম স্থানে। এখনও সেখানেই আছে টাইগাররা। তবে যুক্ত হয়েছে ৫ রেটিং পয়েন্ট। সিরিজের আগে ৫১ ম্যাচ থেকে বাংলাদেশ দলের অর্জন ছিল ২২২ রেটিং পয়েন্ট; ৫৪ ম্যাচ পরে যা ২২৭-এ দাঁড়ালো।
র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের পরেই অবস্থান আফগানিস্তানের। ৩৩ ম্যাচে তাদের রেটিং পয়েন্ট ২১৬। শীর্ষে থাকা ভারত ৬৯ ম্যাচ খেলে অর্জন করেছে ২৬৭ রেটিং পয়েন্ট। ৬ রেটিং পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে অবস্থান ইংল্যান্ডের। ২৫৮ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে পাকিস্তান।
র্যাংকিংয়ে শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ব্যবধান কমেছে বাংলাদেশের। যথাক্রমে সপ্তম ও অষ্টম স্থানে থাকা দল দুটির রেটিং পয়েন্ট সমান ২৩৬।
দলীয় র্যাংকিংয়ে উন্নতি না হলেও বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত অবস্থানে পরিবর্তন এসেছে। উন্নতি হয়েছে সিরিজ সেরা নাজমুল হোসেন শান্ত ও শেষ ম্যাচের ম্যান অব দ্য ম্যাচ লিটন দাসের। প্রথম ম্যাচে ৫১ রানে আউট হন শান্ত। পরের দুই ম্যাচে অপরাজিত ৪৬ ও ৪৭ রান করেন তিনি। ৬৮ ধাপ এগিয়ে টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের তালিকায় ১৬ নম্বরে উঠে এসেছেন তিনি। ক্যারিয়ার সেরা ৫৯৩ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে শান্ত আছেন বিরাট কোহলির (৬১২) পরে। টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের তালিকায় শান্তই বাংলাদেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে।
শেষ ম্যাচে ক্যারিয়ার সেরা ৭৩ রান করে ক্যারিয়ার সেরা রেটিং অর্জন করেছেন লিটন দাস। ৫৬৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তার বর্তমান অবস্থান ২২ নম্বরে। এছাড়া সেরা ৫০ এর মধ্যে বাংলাদেশি হিসেবে জায়গা হয়েছে আফিফ হোসেন ধ্রুবর। শেষ ম্যাচ না খেলা আফিফ ৪৮৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে আছেন ঠিক ৫০ নম্বরে।
টি-টোয়েন্টি বোলারদের মধ্যে সেরা ২০ এ আছেন কেবল মোস্তাফিজুর রহমান। ৬১১ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তার অবস্থান ২০ নম্বরে। ৫৮৮ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে যৌথভাবে ২৪ নম্বরে সাকিব আল হাসান। এর বাইরে ৫৬০ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ৩১ নম্বরে রয়েছেন নাসুম আহমেদ। অলরাউন্ডারদের মধ্যে যথারীতি ২৬৮ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৩
এমএইচএম