ডোনাল্ডের সঙ্গে দাঁড়িয়ে পাঁচ পেসার, ছবিটা তুললেন বিসিবির ফটোগ্রাফার। এরপরই ডাক শুরু হলো মাঠের বাইরে দাঁড়ানো আলোকচিত্রীদের, তাদের দিকেও ঘুরতে হবে- বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত ছবিগুলোর একটি মিস করলে তো আর চলছে না।
গতির মোহে আবৃত রাখার চল দেশের ক্রিকেটে অনেকদিনের। এখন আবার বদলে যাওয়ার হাওয়াও। নাজমুল হোসেন শান্ত যেমন বল হাতে নিয়ে নেটে অনুশীলন করছিলেন। পাশের নেটে দাঁড়ানো সাকিব আল হাসান তাকে খোঁচাই দিলেন যেন, ‘কীরে, তুই বোলিং কেন করতেছোস?’ তার প্রশ্ন ছিল এমন।
শান্ত জবাবে বললেন, ‘ভাই, সব দিন তো আর ভালো যাবে না...’। ফর্মের তুঙ্গে থাকা ক্রিকেটার ক্রিকেটের কঠিন বাস্তবতা ভালোই জানেন। আয়ারল্যান্ড যখন প্রতিপক্ষ হিসেবে সামনে, তখনও যে মনোযোগ একটুও সরানো যাবে না। তিনি তা জানেন ভালোভাবেই। সবচেয়ে ভালো বোধ হয় জানেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
সংবাদ সম্মেলনে তার কাছে প্রথম প্রশ্নই গিয়েছিল আয়ারল্যান্ডকে হালকাভাবে না নেওয়ার। শুনে যেন আতকেই উঠলেন তিনি, বললেন ‘ভয়ঙ্কর ব্যাপার’। এরপর আইরিশদের নিয়ে হাথুরু জানিয়েছেন নিজের ভাবনাও, ‘আমরা আয়ারল্যান্ডকে তেমনভাবেই সম্মান করি, যেমনটা ইংল্যান্ডকে করেছি। কিন্তু কাউকে ভয় পাই না। ’
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ভালো না করার কারণ এমনিতে নেই। ইংল্যান্ডকে টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ করার স্মৃতি পুরোপুরি টাটকা, ওয়ানডেতেও একটা জয় এসেছে। দলে আছে বেশ চাঙা ভাব। কেউ যদি ভাবেন, সাফল্য তো টি-টোয়েন্টিতে এলো। এখন খেলা ওয়ানডে।
এমন প্রসঙ্গে হেড কোচ হাথুরুসিংহে বলেছেন, ‘শেষ ওয়ানডে জয়টাই কিন্তু আমরা টি-টোয়েন্টিতে পরে টেনে এনেছি...। ’ পরিসংখ্যানেও বাংলাদেশের দিকেই পাল্লাটা ভারি। স্বাগতিকদের সাত জয়ের বিপরীতে আইরিশরা জিতেছে কেবল দুই ম্যাচ। একটি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে, অন্যটি ২০১০ সালের দ্বিপক্ষীয় সিরিজে।
এসব কিছু নিয়ে অবশ্য খুব একটা ভাবতে চান না আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ডু বলবার্নি। তিনি বলছেন, দল হয়ে খেলার কথা। সংবাদ সম্মেলনে তার মুখে বাংলাদেশ নিয়ে যেমন প্রশংসা ছিল, সঙ্গী হয়েছে নিজেদের প্রতি আত্মবিশ্বাসের কথাও।
তাতে স্বপ্ন আসলে কত বড় হয়েছে? এর একটা ধারণা পাওয়া যায় বলবার্নির সংবাদ সম্মেলনেই। তার কাছে প্রশ্ন করা হয়, ‘আপনার কী মনে হয় বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করা সম্ভব? প্রশ্নটা শুনে তিনি বলছিলেন, ‘এটার জন্য অনেক বড় প্রচেষ্টার দরকার হবে আমাদের। এটা বলতে চাই না এ ধরনের ফল প্রত্যাশা করছি; কিন্তু হলে খুশি হবো। আমরা যদি একসঙ্গে এক সপ্তাহ ভালো ক্রিকেট খেলি, তাহলে সম্ভব। ’
সিলেটে বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে সিরিয়াসনেস ছিল বেশি। আয়ারল্যান্ডও তাই। হ্যারি টেক্টরই যেমন, ফিল্ডিংয়ের করেছেন অন্তত ঘণ্টা দেড়েক। এর আগে আইরিশ ব্যাটাররাও ছিলেন বেশ ব্যস্ত। ভালো লড়াইয়ের প্রত্যাশা আয়ারল্যান্ড নিশ্চয়ই করে। তাতে অবশ্য চোখ রাঙাতে পারে বৃষ্টি। সকালে বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৩
এমএইচবি/এমএইচএম