কখনও খেলেননি স্বীকৃত পর্যায়ের ক্রিকেট। অথচ তিনিই কি না সরাসরি সুযোগ পেলেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ম্যাচে।
তার বয়স কেবল ১৯ বছর। জন্ম ২০০৩ সালে ১৫ মে। দিল্লিতে বেড়ে উঠা এই লেগ স্পিনার ডান হাতি ব্যাটারও। ছোট থেকেই ক্রিকেট প্রতি ভালোবাসা তার। কিন্তু অভাবের সংসারে ক্রিকেট খেলাটা চালিয়ে যাওয়া মোটেই সহজ ছিল না সুয়াশের। অনেক লড়াই করতে হয়েছে এটুকু পথ আসার জন্য।
সুয়াশের বাবা ক্যানসারে আক্রান্ত। পরিবারে অভাবও অনেক। তবুও স্পিনের ভেল্কি দেখানো থেকে পিছপা হননি তিনি। আর্থিক অভাব-অনটনের কারণে প্রতিভা থাকলেও সহজে সুযোগ পাননি সুয়াশ। তার মধ্যে আবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে তার কোচ মারা যান।
কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলার আগে দিল্লির অনূর্ধ্ব-২৫ দলের হয়ে খেলতেন সুয়াশ। তবুও ছিলেন একদমই অপরিচিত মুখ। কেকেআর অধিনায়ক নীতিশ রানাও তাকে ক্যাম্পে দেখার আগে পর্যন্ত চিনতেন না। তার আগে দেনা ব্যাংকের হয়ে খেলেছেন সুয়াশ। দিল্লির মাদ্রাজের ক্লাবের হয়েও খেলেন তিনি।
দিল্লিতে সুয়াশের কোচ রনধীর বলছিলেন, 'সুয়াশের ক্রিকেট শেখাটা খুব মসৃণ পথে হয়নি। সুরেশের (কোচ) ক্লাবে খেলত। করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যাওয়ার পর আমার কাছে আসে সুয়াশ। মাদ্রাজ ক্লাবের হয়ে খেলে সে। '
'ক্লাব ক্রিকেটে খেলার জন্য আমরা সুয়াশকে কোনও টাকা দিতাম না। কেউই টাকা পায় না। শুধু যদি ভারতের হয়ে খেলা কোনও ক্রিকেটারকে অনুরোধ করা হয় খেলার জন্য, তাকে হয়তো কিছু দেওয়া হয়। '
তাকে কলকাতার ট্রায়ালে দেখে পছন্দ করেন কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত ও অভিষেক নায়ার। এরপর পছন্দ হয়ে যায় তাদের। পরে খেলানো হয় ম্যাচেও। বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে তিন উইকেট নিয়ে তাদের সঠিকও প্রমাণ করলেন সুয়াশ।
বাংলাদেশ সময় : ১৩১১ ঘণ্টা, ৮ এপ্রিল, ২০২৩
এমএইচবি