সৌরভ গাঙ্গুলী ও বিরাট কোহলির সম্পর্ক যে আদায়-কাঁচকলায়; তা আর কারও অজানা নয়। দুজনের ঝামেলা বেশ পুরনো হলেও রেশ থেকেই গেছে।
ইনস্টাগ্রামে সৌরভ গাঙ্গুলীকে 'আনফলো' করেছেন কোহলি। তবে সৌরভের 'ফলো' তালিকায় কোহলির নাম আছে। এই ঘটনায় দুজনের শীতল সম্পর্কটা আরও বেশি করে প্রকাশ্যে চলে এলো। অবশ্য দুইদিন ধরেই আলোচনায় আছেন এই দুই সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক।
গত পরশু এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। ২৩ রানে ম্যাচটি জিতে নেয় স্বাগতিকরা। ম্যাচ শেষে দিল্লির মেন্টর সৌরভ এড়িয়ে যান কোহলিকে। বাকিদের সঙ্গে করমর্দন করলেও কোহলিকে দেখেই হাত সরিয়ে নেন সৌরভ। কোহলিও যে করমর্দনে আগ্রহী ছিলেন তা, সেটাও স্পষ্ট ধরা পড়ে ভিডিওতে।
রান তাড়ায় দিল্লি যখন হারের মুখে, বাউন্ডারিতে দাঁড়ানোর কোহলি ক্যাচ নেন আমান হাকিম খানের। ক্যাচ নিয়েই পেছনে থাকা দিল্লির ডাগআউটে সৌরভের দিকে রক্তচক্ষু দৃষ্টিতে তাকান কোহলি। তবে সৌরভ ওই সময় চুপ ছিলেন। কিন্তু ম্যাচের পর ঠিকই করমর্দন এডিয়ে 'শোধ' তোলেন তিনি। তবে ঘটনার এখানেই শেষ হয়নি। একদিন পরেই ইনস্টাগ্রামে সৌরভকে 'আনফলো' করলেন কোহলি।
কোহলি ও সৌরভের দ্বন্দ্ব অবশ্য আরও পুরনো। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এই ফরম্যাটের নেতৃত্ব ছাড়েন কোহলি। এরপর তাকে ভারতীয় ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সৌরভ তখন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
পরে সংবাদমাধ্যমকে সৌরভ জানিয়েছিলেন, কোহলিকে টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব না ছাড়তে বোর্ড এবং নির্বাচকদের তরফ থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু কোহলি সিদ্ধান্তে অটল থাকায় তাকে ওয়ানডের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। দুই ফরম্যাটেই নেতৃত্বে আসেন রোহিত শর্মা। কারণ হিসেবে সাদা বলে দুই ফরম্যাটে আলাদা অধিনায়ক না করার কথা জানায় বিসিসিআই।
এক সপ্তাহ পর কোহলি মুখ খোলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের মাঝে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, তাকে না জানিয়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড। এমনকি টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর নাকি তার সঙ্গে সৌরভ কিংবা নির্বাচকরা কোনো যোগাযোগ করেননি। বরং আলোচনা ছাড়াই তাকে ওয়ানডে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এর জেরে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে টেস্ট নেতৃত্বও ছাড়েন কোহলি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২৩
এমএইচএম