ইংল্যান্ড ছেড়ে জিম্বাবুয়ের হয়ে নতুন করে ঢেলে সাজিয়েছিলেন সবকিছু। কিন্তু এর দুই মাসের ভেতর একদমই বিপরীত সিদ্ধান্ত নিলেন গ্যারি ব্যালান্স।
ব্যালান্স বলেন, ‘অনেক ভাবার পর, এই মুহূর্ত থেকেই সব ধরনের পেশাদার ক্রিকেট থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি। ভেবেছিলাম জিম্বাবুয়েতে আসার পর নতুন করে ক্রিকেটের আনন্দ খুঁজে পাব এবং জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব আমাকে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ও তাদের দলে স্বাগত জানানোর জন্য। ’
‘তবে আমি এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছে গেছি, যেখানে পেশাদার ক্রিকেটের কঠোরতায় নিজেকে নিবেদিত করার তাড়না হারিয়ে ফেলেছি এবং খেলা চালিয়ে গেলে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট এবং ক্রিকেট খেলার প্রতিও অন্যায় করা হবে। সামনের পথচলায় তাদেরকে শুভ কামনা জানাই। ”
সবমিলিয়ে ২৪ টেস্টে ৫ সেঞ্চুরি ও ৭ ফিফটিতে ৪০.৩২ গড়ে ১ হাজার ৬৫৩ রান করেছেন ব্যালান্স। ২০১৪ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে অভিষেক হয় তার। ২০১৭ পর্যন্ত প্রায় নিয়মিতই দলে ছিলেন। তবে এরপর জায়গা হারিয়ে ফেলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। গত বছর তার ওপর বর্ণাবাদের অভিযোগ তোলেন ইয়র্কশায়ার সতীর্থ আজিম রফিক। যার ফলে তার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ইয়র্কশায়ার। এরপর জন্মভূমি জিম্বাবুয়েতে পাড়ি জমান তিনি।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলার পরপরই জিম্বাবুয়ে ছেড়েছিলেন ব্যালান্স। লম্বা সময়ে পর ফিরে দেশটির তিন ফরম্যাটেই খেলার অভিজ্ঞতা হয় তার। নাম লেখা দুই দেশের হয়ে খেলা ক্রিকেটারদের বিরল ক্লাবে। এছাড়া টেস্টে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে দুটি ভিন্ন দেশের হয়ে সেঞ্চুরি করার কীর্তিও আছে তার। ওয়ানডেতে ২১ ম্যাচে ৪৫৪ রান ও একমাত্র আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলে ৩০ রান করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৩
এএইচএস