ফাফ ডু প্লেসি ও বিরাট কোহলির ফিফটির পরও বড় সংগ্রহ পায়নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তবে বোলিংয়ে মোহাম্মদ সিরাজের দাপটের কারণে ম্যাচের নাটাই ছিল তাদের হাতেই।
১৭৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে একদমই দাঁড়াতে পারেনি পাঞ্জাবের ব্যাটিং। ওপেন করতে নামা প্রভসিমরন সিংহ একটা দিক ধরে রাখলেও অপরপ্রান্তে একের পর এক উইকেট পড়ে যাচ্ছিল। সিরাজের প্রথম বলে অথর্ব তাইড়ে চার মারেন। দ্বিতীয় বলেই তাকে এলবিডব্লিউ করেন সিরাজ। তৃতীয় ওভারে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা শিকার করেন ম্যাথু শর্টকে (৮)। ইনজুরি থেকে ফিরে লিয়াম লিভিংস্টোনও (২) রানের দেখা পাননি। তাকে ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ বেঙ্গালুরুকে এনে দেন সিরাজ।
একপ্রান্ত আগলে রাখা প্রভসিমরানের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে ব্যক্তিগত ৪৬ রানে। তাকে বোল্ড করেন ওয়েন পারনেল। অধিনায়ক স্যাম কারেনও কিছু করতে পারেননি। ১২ বলে ১০ করেন তিনি। শেষ দিকে একটা চেষ্টা করেছিলেন উইকেটকিপার জিতেশ শর্মা। ১৯ ওভারে দলের শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ২৭ বলে ৪১ রান করেন তিনি। বেঙ্গালুরুর হয়ে ২১ রানে ৪ উইকেট নেন সিরাজ। ডানহাতি এই পেসারই জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ উইকেটে ১৭৪ রান করে বেঙ্গালুরু। উদ্বোধনী জুটি থেকেই আসে ১৩৭ রান। আশা জাগিয়েও বড় রান হল না। কোহলিকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন হারপ্রীত ব্রার। ৪৭ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৫৯ রান করেন কোহলি। পরের বলেই গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে শিকার করেন ব্রার। তবুও ফাফ ডু প্লেসি থাকায় ১৮০ পেরোনোর সম্ভাবনা অন্তত ছিল। কিন্তু ৫৬ বলে ৫ চার ও ৫ ছক্কায় ৮৪ রান করে ডু প্লেসি বিদায় নিলে রানের গতি বাড়াতে পারেননি বাকি ব্যাটাররা।
৬ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে আছে বেঙ্গালুরু। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট হলেও রানরেটে পিছিয়ে থাকায় সাতে পাঞ্জাব।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৩
এএইচএস