গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে হারার পর ঘুরে দাঁড়িয়েছে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে তাণ্ডব চালিয়েছে দলটির ব্যাটাররা।
শুক্রবার মোহালিতে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ৩৮তম ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রান সংগ্রহ করে লক্ষ্ণৌ। আইপিএলে এর চেয়ে সংগ্রহ করার তালিকায় আছে শুধু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। ২০১৩ সালে ঘরের মাঠে ২৬৩ রান সংগ্রহ করে তারা। আজ লক্ষ্ণৌর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়ায় খেলতে নেমে ২০১ রানেই থামতে হয় পাঞ্জাবকে।
এই জয়ে ৮ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উঠে এসেছে লক্ষ্ণৌ। শীর্ষে থাকা রাজস্থান রয়্যালসেরও সমান পয়েন্ট। তবে রান রেটে তারা এগিয়ে। সমান ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে পাঞ্জাব।
আগে ব্যাট করা লক্ষ্ণৌ শুরুতেই হারায় লোকেশ রাহুলকে। ১২ রানে তার বিদায়ের পর কাইল মেয়ার্সকে সঙ্গ দেন আয়ুশ বাধোনি। মাত্র ২০ বলে ফিফটি স্পর্শ করা মেয়ার্স তার সঙ্গে গড়েন ৩৩ রানের জুটি। এরপর ৪ রান যোগ করতেই হারান উইকেট। চারে নামা মার্কাস স্টয়নিস এসে শুরু করেন মেয়ার্সের মতোই। বাধোনির সঙ্গে তিনি গড়েন ৮৯ রানের জুটি। ৪৩ রানে বাধোনিকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন লিয়াম লিভিংস্টোন।
ব্যাট চালাতে থাকা স্টয়নিস অবশ্য তুলে নেন ফিফটি; ৩১ বলে। এরপর নিকোলাস পুরানের সঙ্গে গড়েন ৩০ বলে ৭৬ রানের জুটি। ঝড় তুলতে থাকা এই ব্যাটারকে ৭২ রানে ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু আনেন স্যাম কারেন। স্টয়নিসের এই দারুণ ইনিংসটি সাজানো ছিল ৫ ছক্কা ও ৬ চারে। তিনি ফিরলেও তাণ্ডব চালাতে থাকেন পুরান। তবে ১৯ বলে ৪৫ রান করে বিদায় নেন ক্যারিবিয় কিপার ব্যাটার। শেষদিকে দীপক হোডা ১১ ও ক্রুনাল পান্ডেয়া ৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
রান তাড়ায় ব্যাট করতে নেমে পঞ্চম বলেই অধিনায়ক শিখর ধাওয়ানকে হারায় পাঞ্জাব। কিছুক্ষণ পর আরেক ওপেনার প্রাবসিমরান সিংও বিদায় নেন মাত্র ৯ রান যোগ করে। তিনে নেমে অবশ্য দলের হাল ধরেন অথর্ভা। সিকান্দার রাজার সঙ্গে গড়েন ৭৮ রানের জুটি। ২৬ বলে স্পর্শ করেন ফিফটিও। রাজাকে ৩৬ রানে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন ইয়াশ ঠাকুর। কিছুক্ষণ পর বিদায় নেন অথর্ভাও। এর আগে খেলে যান ৩৬ বলে ২ ছক্কা ও ৮ চারে ৬৬ রানের ইনিংস।
পাঁচে নামা লিভিংস্টোন ২৩ রানেই হারান উইকেট। স্যাম কারেনও করতে পারেননি ২১ রানের বেশি। জিতেশ শর্মা এসে ১০ বলে ২৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে বিদায় নেন। শেষদিকে আর কেউ ব্যাটে তেমন রানই তুলতে পারেননি। নির্ধারিত ওভারের ১ বল বাকি থাকতেই সবগুলো উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা।
লক্ষ্ণৌর হয়ে ৩ ওভার ৫ বলে ৩৭ রান খরচায় ৪ উইকেট তুলে নেন ইয়াশ। ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ৩ উইকেট পান নাভিন উল হক। রবি বিষ্ণই শিকার করেন জোড়া উইকেট।
বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৩
আরইউ