আফিফ হোসেন ধ্রুব এমনিতেই মৃদুভাষী। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে খুব একটা কথা বলেন না।
কয়েকদিন আগে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন তিনি। হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে স্পষ্ট করেই জানিয়েছিলেন, পারফরম্যান্সের কারণেই সেটি। জাতীয় দলে সাধারণত ছয়-সাতে ব্যাট করা আফিফ উপরে ব্যাটিং করতে চান, এটিও শোনা যাচ্ছিল। ডিপিএলে আবাহনীর হয়ে উপরে ব্যাট করে সফল হয়েছেন তিনি।
এবারই লিস্ট-এ ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। শেষদিনে শেখ জামালের বিপক্ষে অঘোষিত ফাইনালেও পাঁচ নম্বরে খেলতে নেমে আফিফ ৫৩ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলে থেকেছেন অপরাজিত। এরপর তার কাছে প্রশ্ন ছিল, জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর এটি কি তার জন্য প্রমাণের লড়াইও ছিল?
আফিফ বলেন, ‘আমি আসলে এত বেশি চিন্তা করতে পছন্দ করি না। আমি শুধু আমার খেলাটা খেলতে এসেছি। চিন্তা করেছি যেন ভালো খেলতে পারি। অবশ্যই ভালো খেলতে পেরেছি। দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমার অবদান ছিল, খুশি। ’
বিশ্বকাপ দলে জায়গা নেওয়ার বার্তা দিলেন কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি কখনোই প্রত্যাশা রাখি না। আমি সবসময় বর্তমানে থাকতে পছন্দ করি। এখানে খেলাগুলোতে আমি ফোকাস করেছি। সামনে যে খেলাগুলো আছে সেগুলোয় ফোকাস করবো। ’
আবাহনীর হয়ে তিন-চার বা পাঁচ নম্বরে ব্যাট করেছেন আফিফ। জাতীয় দলেও তার চাওয়া ছিল এমন কিছুই। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় ওপরে ব্যাটিং করতে পছন্দ করি। ’
জাতীয় দলের টিম ম্যানেজম্যান্ট থেকে কোনো বার্তা ছিল কি না এমন প্রশ্নে আফিফ বলেন, ‘উপরে খেলার এমন কোনো বার্তা বা কারো সাথে কোনো কথা হয়নি। আমি ওখান থেকে সরাসরি এখানে জয়েন করেছি। খেলেছি। ’
আবাহনীর হয়ে শিরোপা জেতা নিয়ে আফিফ বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন হতে তো সবারই ভালো লাগে। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে আমাদের সবারই লক্ষ্য ছিল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। আমাদের ওপেনার দুইজন পুরো টুর্নামেন্ট ভালো শুরু এনে দিয়েছে। যে কারণে আমাদের জিনিসটা সহজ হয়ে গিয়েছে। আর মিডল অর্ডারে আমাদের মোটামুটি সব ব্যাটারই ছন্দে ছিল। এ জন্য শিরোপা জেতা সম্ভব হয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৯ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
এমএইচবি/আরইউ