ঢাকা, রবিবার, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ধৈর্য হারিয়ে বিদায় তামিমের

স্পোর্টস ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৬ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩
ধৈর্য হারিয়ে বিদায় তামিমের সংগৃহীত ছবি

শুরুর দিকে 'জীবন' পেয়েছিলেন তামিম ইকবাল। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তুলে নিয়েছিলেন দারুণ এক ফিফটি।

কিন্তু ধৈর্য হারিয়ে ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে পরিণত করতে পারলেন না টাইগার দলপতি।  

৩৪তম ওভারে আইরিশ স্পিনার জর্জ ডকরেলের বলে অযথা ডাউন দ্য উইকেটে শট খেলতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিলেন তামিম। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে উপরে উঠে যায়, যা সহজেই তালুবন্দি করেন ক্রেইগ ইয়াং। ফলে শেষ হয় তামিমের ৮২ বলে ৬ চারে সাজানো ৬৯ রানের ইনিংস।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৯২ রান।

চেমসফোর্ডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আজ টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ একাদশে ছিল কয়েকটি পরিবর্তন। আঙুলের চোটের কারণে চার সপ্তাহের জন্য ছিটকে গেছেন সাকিব আল হাসান। এছাড়া বাদ দেওয়া হয়েছে শরীফুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলামকে। তাদের জায়গায় ওয়ানডে অভিষেক হয়েছে রনি তালুকদার ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর। আর একাদশে ফিরেছেন মোস্তাফিজুর রহমান।   

অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে আজ লিটনের বদলে ওপেন করতে আসেন রনি তালুকদার। অভিষেকটা অবশ্য রাঙাতে পারেননি এই ব্যাটার। তার বিদায়ে দলীয় ১৮ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। ১৪ বলে চার রান করে ফেরেন অভিষিক্ত রনি। এরপর ইনিংসের তৃতীয় ওভারে জশ লিটলের বলে খোঁচা মেরে সেকেন্ড স্লিপে থাকা বালবার্নির হাতে ক্যাচ দেন তামিম। কিন্তু সহজ ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি বালবার্নি। এরপর থেকে অবশ্য নিজেকে সামলে নিয়ে ব্যাটিং করতে থাকেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

ক্রিজে এসেই শান্তর ব্যাটিংয়ে মিলতে থাকে আগ্রাসীর ছোঁয়া। জশ লিটলকে চার মেরে খোলেন রানের খাতা। ৩২ বলে ৩৫ রান নিতেই তার ইনিংসে ছিল সাতটি চারের মার। কিন্তু লেংথের কিছুটা ওপরে পিচ করা ডেলিভারিতে বল তার ব্যাটের কানায় লেগে সোজা চলে যায় স্লিপে থাকা বালবার্নির হাতে। তামিমের ক্যাচ মিস করলেও, এটা কোনোভাবেই ছাড়েননি তিনি। তাতে ভাঙে ৪৯ রানের জুটি। এরপর হাল ধরেন লিটন-তামিম।

গত কয়েক ম্যাচে রান পাচ্ছিলেন না লিটন দাস। তবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। সাধারণত ইনিংস ওপেন করলেও আজ চারে নেমে ভালোই শুরু করেছিলেন তিনি। তামিমের সঙ্গে ৭০ রানের জুটি গড়েছিলেন লিটন। তবে তাকে থামতে হলো ব্যক্তিগত ৩৫ রানে। ৩৯ বল স্থায়ী ইনিংস খেলে অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি।  

লিটন বিদায় নিলেও ফিফটির দেখা পান তামিম। এভাবে ব্যাট উঁচিয়ে ধরার জন্য ৯ মাস ও ১০ ম্যাচ অপেক্ষা করতে হয়েছে তাকে। ৬১তম বলে গিয়ে স্পর্শ করেন ক্যারিয়ারের ৫৬তম ফিফটি। সবশেষ হাফসেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। হারারেতেই করেছিলেন সবশেষ সেঞ্চুরিটাও। সেটা অবশ্য ২০২১ সালে।  

২০ ম্যাচ ধরে সেঞ্চুরিহীন তামিম আজ দারুণভাবে ব্যাটে-বলে করছিলেন। অপরপ্রান্তে তাকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন তৌহিদ হৃদয় (১৩)। ডকরেলের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। এরপর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে জুটি গড়ার পথে ছিলেন তামিম। কিন্তু তার বিদায়ে ভাঙে ২৭ রানের জুটি। উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে ডকরেলের বলে তুলে মারতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বল জমা হয় শর্ট থার্ড ম্যানে থাকা ইয়াংয়ের হাতে।   

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।