জিততে হলে গড়তে হতো বিশ্বরেকর্ড। কিন্তু শেষ দিনে প্রথম সেশন পর্যন্তও টিকল না ভারত।
দ্য ওভালে ৩ উইকেটে ১৬৪ রান নিয়ে শেষ দিনের খেলা শুরু করে ভারত। বিরাট কোহলি ৪৪ ও অজিঙ্কা রাহানে ব্যাট করছিলেন ২০ রান নিয়ে। মূলত তাদের ব্যাটে টেস্ট বাঁচানোর আশা দেখেছিল ভারত। ফিফটি থেকে এক রান দূরে থাকতেই সাজঘরে যেতে হয় কোহলিকে। স্কট বোল্যান্ডের শিকার হয়ে ফেরেন তিনি।
এরপর তাসের ঘরের মতোই ভেঙে পড়ে রোহিত শর্মার দল। জয় তো দূরের কথা ড্রয়ের আশাটাও তখন ফিকে হয়ে যায়। ন্যাথান লায়নের স্পিন তোপে লোয়ার অর্ডারের ব্যাটাররাও সেরকম প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। তাই ২৩৪ রানেই অলআউট হয়ে যায় ভারত। অজিদের হয়ে লায়ন চারটি, বোল্যান্ড তিনটি, মিচেল স্টার্ক দুটি ও প্যাট কামিন্স নেন একটি উইকেট।
মর্যাদার লড়াইয়ে এর আগে টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ভারত। স্টিভেন স্মিথ ও ট্রাভিস হেডের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ৪৬৯ রানের বড় সংগ্রহ পায় অজিরা। জবাব দিতে নেমে ২৯৬ রানেই গুটিয়ে যায় ভারত। বড় লিড পেয়ে ভারতের জন্য লক্ষ্যটা পাহাড়সম করে তোলে অস্ট্রেলিয়া। এমন অবস্থানে গিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে, যেখানে ভারতকে জিততে হলে ভাঙতে হবে বিশ্বরেকর্ড। ২০ বছর আগেও ৪১৮ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড গড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সেই ইতিহাস আর ভাঙা হয়নি ভারতের, পরপর দুইবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেও ফিরতে হলো খালি হাতে। একইসঙ্গে ঘুচাতে পারেনি ১০ বছর ধরে আইসিসি ট্রফি জিততে না পারার আক্ষেপ। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া পূরণ করলো আইসিসি ট্রফি জয়ের চক্র। প্রথম দল হিসেবে আইসিসি স্বীকৃত সব শিরোপা জিতেছে তারা।
প্রথম ইনিংসে চাপের মুখে ১৭৪ বলে ১৬৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলায় ফাইনাল-সেরা হয়েছেন ট্রাভিস হেড।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৩
এএইচএস