দীর্ঘ অপেক্ষার পর বিশ্বকাপের একশ দিন বাকি থাকতে সূচি ঘোষণা করেছে আইসিসি। ছয় ভেন্যুতে বাংলাদেশ খেলবে প্রাথমিক পর্বের ৯টি ম্যাচ।
কিন্তু পরের দিকে খেলতে হবে যথাক্রমে চেন্নাই, পুনে, মুম্বাই, কলকাতা হয়ে আবার পুনেতে। খসড়া সূচি আগে হাতে পেলেও জানানোর সুযোগ ছিল বিসিবির। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা আসার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। শেষদিকে ভ্রমণ একটু বেশি হলেও বিসিবি বিচলিত নয়, বলে জানান তিনি।
নিজ বাসায় সাংবাদিকদের জালাল বলেন, ‘আমরা তো আরও ২-৩ সপ্তাহ আগেই জেনে গিয়েছিলাম। আইসিসির থেকে একটা খসড়া সূচি পেয়েছিলাম আমরা। বাইরে বলা নিষেধ ছিল। তাই আমরা বলিনি। তবে কম-বেশি আমরা জানতাম কোথায় কী হবে। শুধু একটা পরিবর্তন আছে। আমরা আগে পেয়েছিলাম যে, নিউ জিল্যান্ডের খেলাটা হবে বেঙ্গালুরুতে। সেটা এখন বদলে গেছে চেন্নাইয়ে। চেন্নাইতে হওয়ায় আমাদের জন্য ভালো হয়েছে। আমরা মনে করি আমাদের জন্য মানানসই। ’
‘আর আমরা জানি যে, কোথায় কোথায় গিয়ে খেলতে হবে। ছয়টা ভেন্যুতে খেলা হচ্ছে। ভ্রমণ বেশি। প্রথম দিকে ভ্রমণ একটু কম। তবে পরের দিকে ভ্রমণটা বেশি। উত্তর থেকে দক্ষিণে আবার দক্ষিণ থেকে উত্তরে যেতে হবে। আমরা এটা নিয়ে বিচলিত নই। ওভাবেই আমরা মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছি যে, কোথায় কোথায় খেলতে হবে। অনেক ক্রিকেটারই হয়তো ভারতের অনেক ভেন্যুতে খেলেনি। অনেকে আবার অনেক ভেন্যুতে খেলেছে। সেজন্য আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। ’
ওয়ানডে সুপার লিগে দারুণ করেছে বাংলাদেশ। তিন নম্বরে থেকে শেষ করেছে তারা। আগামী মাসের শুরুতে আফগানিস্তানের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ রয়েছে। এরপর এশিয়া কাপ ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সবমিলিয়ে নিজেদের প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্ট বিসিবি। দেশের বাইরে ক্যাম্প করার পরিকল্পনা না থাকার কথাও জানান জালাল।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি ভালো আছে। আপনারা জানেন, আমরা আফগানিস্তান সিরিজের মাঝে আছি। এরপর আপনারা জানেন, এশিয়া কাপ আছে। এশিয়া কাপের পর যখন আমরা বিশ্বকাপ খেলতে যাব, তার আগে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলব। প্রস্তুতির দিক থেকে আমরা খুব খুশি, সন্তুষ্ট। তার মধ্যে আগস্টে যে স্কিল ট্রেনিং হবে, অনুশীলন হবে- সবমিলিয়ে আমরা প্রস্তুত। ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়েই আমরা যাব। যেহেতু প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি নেই। ভালো প্রস্তুতি নিয়েই যাব। তাই আমি মনে করি, আমরা ভালো করতে পারব। ’
‘এবার আমরা বাইরে কোনো ক্যাম্প করছি না। ভারতের কন্ডিশনের সঙ্গে সাদৃশ্য আছে। সেজন্য আমাদের কোথাও না গেলেও চলবে। একটা জায়গা ছাড়া কম-বেশি সবগুলোই ট্রপিক্যাল থাকবে। ধর্মশালায় একটু ঠাণ্ডা থাকবে। গড়ে হয়তো ২০ থেকে ২৫ ডিগ্রি থাকবে। এটা খুব একটা সমস্যা হবে না। এর চেয়েও ঠাণ্ডায় খেলে এসেছি আমরা। এটা ছাড়া বাকি যেসব ভেন্যুতে খেলা হবে, কম-বেশি একই। ওরাও ট্রপিক্যাল দেশ। আমরা সেরকম কন্ডিশনেই এখানে অনুশীলন করব। সেজন্য বাইরে গিয়ে অনুশীলন করার তেমন দরকার পড়বে না। ’
বিশ্বকাপে ১৫ জন ক্রিকেটার স্কোয়াডে রাখা যায়। শোনা যাচ্ছে এর সঙ্গে হেড কোচের চাওয়াতে দলের সঙ্গে থাকতে পারেন আরও তিনজন। ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, এসব সিদ্ধান্ত টিম ম্যানেজম্যান্টের হাতে।
তিনি বলেন, ‘দেখেন, এই পরিকল্পনাটা, বাছাইটা আমরা করিনি। মূল একাদশে কোন ১৫ জন যাবে, বাড়তি হিসেবে কারা যাবে, রিজার্ভ হিসেবে কারা ঢাকায় থাকবে- এটা একটা বড় পরিকল্পনার ব্যাপার। একটু আগে যেটা বললাম, যেহেতু আমাদের এখন বিকল্প অনেক ক্রিকেটার আছে, সবাই ১৯-২০। ’
‘তাই মূল ১৫ জন গুরুত্বপূর্ণ। সেখানেই মূল মনোযোগ থাকবে। তারপর আমরা দেখব কাকে বাড়তি নেওয়া যায়। দলের জন্য নির্দিষ্ট কোনো নাম গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং কাকে দলের জন্য প্রয়োজন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। যাকে দিয়ে দলের প্রয়োজন পড়বে না, সেটা আমরা মাথায় রাখব। কোচ, টিম ম্যানেজমেন্টেরও এই একই চিন্তা। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৮২০ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৩
এমএইচবি/এএইচএস