গত ১০ বছরে ভারতের শোকেসে জমা পড়েনি কোনো আইসিসি ট্রফি। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ব্যর্থতাকে সঙ্গী করে ফিরছে তারা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক মেধা আছে, তবে নকআউট পর্বে নির্দিষ্ট দিনে আপনার ভাগ্য দরকার। নকআউট পর্বে যেসব ম্যাচে আমরা হেরেছি, তাকালে দেখবেন, বরাবরই ভাগ্য খারাপ ছিল। ২০১৯ সালে আমাদের এমন একটি ম্যাচ দ্বিতীয় দিনে গড়িয়েছিল। যদি এক দিনেই খেলা হতো, গল্পটা ভিন্ন হতে পারত। কারণ, পরদিন সিমিং কন্ডিশন ছিল, আর তাতে নিউজিল্যান্ড বোলাররা ভালো করতে পেরেছে। ফলে আমার মনে হয়, আপনার একটু ভাগ্যের সহায়তা প্রয়োজন। মানে চার-পাঁচটি বেশ ভালো দল তো আছেই। নির্দিষ্ট দিনে তাই ভাগ্য প্রয়োজন। ’
বিশ্বকাপে অলরাউন্ডাররাই পার্থক্য গড়ে দেবেন বলে বিশ্বাস গাভাস্কারের। কিংবদন্তি এই ব্যাটার বলেন, ‘অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে ভাগ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৮৩, ১৯৮৫, ২০১১— ওই তিনটি দলের দিকে তাকালে দেখবেন, বিশ্বমানের অলরাউন্ডার ছিল। এমন ব্যাটসম্যান ছিল, যারা ৭-৮-৯ ওভার বোলিং করতে পারে; এমন বোলার ছিল, যারা নিচের দিকে ব্যাটিং করতে পারে। ওই দলগুলোর অনেক বড় প্রাপ্তি ছিল সেটি। ’
‘এমএসডির (২০১১ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির বিশ্বকাপজয়ী) দলের দিকে তাকালে দেখবেন— সুরেশ রায়না, যুবরাজ সিং, শচীন টেন্ডুলকার, বীরেন্দর শেবাগরা বোলিং করতে পারত। এটা বাড়তি পাওয়া ছিল। ফলে যে দলের অলরাউন্ডার আছে, তারা এগিয়ে থাকবে। ’
আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপ। স্বভাবতই ফেভারিট হিসেবে ভাবা হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তানকে। তবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকেও হিসেবে রাখতে বললেন গাভাস্কার, 'শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপ জিতে দেখিয়েছে। গত বছর আমরা সবাই যখন পাকিস্তান ও ভারতের ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলাম সেই সময় শ্রীলঙ্কা নিজের হাতে কাপ তোলে। এমনকি ভারত ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়। আমাদের শ্রীলঙ্কাকে ভুলে গেলে চলবে না। '
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২৩
এএইচএস