বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের পিঠ অনেকটা দেয়ালেই ঠেকে গিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ হার, ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচেও ছিল না খুব একটা আশার আলো।
এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও দারুণ লড়াই করে হেরেছে ৪ রানে। এখন গ্রুপের শেষ দুই ম্যাচে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস ও নেপালকে হারাতে হবে বাংলাদেশের। এরপরই সুপার এইটে পৌঁছে যাবে বাংলাদেশ।
তবে দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের পর আরও বড় স্বপ্নের কথা শুনিয়েছেন তাওহীদ হৃদয়। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় শুধু সুপার এইট না, আমরা সেমিফাইনাল-ফাইনাল খেলার মতো দল। এটা আমার বিশ্বাস। আমার এই বিশ্বাসটা আছে। ’
‘ব্যাটাররা রান করছে না, প্রত্যেক ম্যাচেই সব দলের সবাই রান করে না, ১-২ জন খেলে। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট, এখানে ১১ জন খেলে না। যে ২-৩ জন খেলবে, সেদিন যেন খেলাটা শেষ করতে পারে। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। ব্যাটাররা রান করছে না, ইনশা আল্লাহ সামনের ম্যাচগুলোতে করবে। আশা করি তাড়াতাড়ি ঘুরে দাঁড়াব। ’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে স্রেফ ১১৪ রান তাড়ায় নেমেছিল বাংলাদেশ। এতে বাকি ব্যাটারদের চেয়ে হৃদয় ছিলেন ভিন্ন। ২ চার ও সমান ছক্কায় ৩৪ বলে ৩৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে। কী পরিকল্পনা নিয়ে রান তাড়ায় গিয়েছিলেন হৃদয়?
তিনি বলেন, ‘যখন আমি ব্যাট করেছি, ইন্টেন্ট নিয়ে করার লক্ষ্য ছিল। এটা রানের খেলা। আমার পরিকল্পনা ছিল যেকোনো পরিস্থিতিতে রান করা। হ্যাঁ, কখনো আমি হয়তো কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হবো। আমি ম্যাচের চাওয়া অনুযায়ী এক্সিকিউট করেছি। ’
‘আপনি যদি এই উইকেটের দিকে দেখেন, অনেক বড় ব্যাটাররাও রান করতে পারেনি অথবা কারো স্ট্রাইক রেটই খুব বেশি ছিল না আমি যেমন দেখেছি। এই উইকেটটা একদমই আলাদা। আমরা এখানে যেভাবে ব্যাট করেছি, শুরুটা ভালো ছিল। মাঝেও ভালো ছিল, আমরা শুধু শেষটা করতে পারিনি। ’
বাংলাদেশ সময় : ০৮৫২ ঘণ্টা, ১১ জুন, ২০২৪
এমএইচবি