মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদের বোলিং তোপে যখন কাঁপছিল আফগানিস্তান; সেখান থেকে লড়াই শুরু করেন হাশমতউল্লাহ শহীদি ও মোহাম্মদ নবি। দুজনেই পেয়েছেন ফিফটির দেখা।
শারজাহতে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগানরা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৯ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান তুলেছে তারা।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারিয়েছে আফগানিস্তান। তাসকিন আহমেদের পঞ্চম বলে উইকেট থেকে বেরিয়ে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ (৫)। কিন্তু ফুল লেংথের বল এজ হয়ে চলে যায় উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। ৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় আফগানরা।
প্রথম উইকেট হারানোর পর কিছুটা সাবধানী ব্যাটিং শুরু করে আফগানরা। ৫ ওভার শেষে ১ উইকেটে ১৯ রান তোলে তারা। অষ্টম ওভারে বল হাতে নিয়ে উইকেট পান মোস্তাফিজ। এই বাঁহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে বের হয়ে যাওয়া বল খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দেন রহমত শাহ (২)।
নিজের পরবর্তী ওভারে ফের উইকেট নেন মোস্তাফিজ। এবার তার শিকার অভিষিক্ত ওপেনার সেদিকউল্লাহ আতাল। ফিজের স্টাম্প বরাবর বল আতালের ব্যাট ফাঁকি দিয়ে প্যাডে লাগে। মোস্তাফিজের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। অভিষেক ম্যাচে ৩০ বলে ২১ রান করে বিদায় নেন আতাল।
ওই ওভারের পঞ্চম বলটি কাটার মারেন ফিজ। টাইমিংয়ে গড়বড় হয়ে যায় আজমতউল্লাহ ওমরাইয়ের। বল ব্যাটের কানা দিয়ে সোজা জমা হয় উইকেটকিপারের গ্লাভসে। ২০তম ওভারে ফের আঘাত হানেন তাসকিন। এবার তাসকিনের তুলে দেওয়া বলে গুলবাদিন নাইব মিড উইকেটে তানজিদকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৩২ বলে ২২ রান করে।
দলীয় ৭১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা আফগানরা এরপর ঘুরে দাঁড়ায় নবি ও হাশমতউল্লার ব্যাটে। দুজনের জুটিতে ১৫০ পেরোয় আফগানিস্তান। ৩৭তম ওভারে ওয়ানডেতে নিজের ১৬তম ফিফটি তুলে নেন নবি। ৫২ বলে ফিফটির ছোঁয়ার পরের বলেই ক্যাচ তুলে দেন তিনি। কিন্তু লং অফে থাকা মাহমুদউল্লাহ ধরতে পারেননি। ১ ওভার পরে ফিফটির দেখা পান হাশমতউল্লাহও।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০২৪
এমএইচএম