টানা চার ওয়ানডেতে ব্যর্থ হওয়ার পর বেশ চাপেই পড়ে গিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পঞ্চম ম্যাচে ব্যর্থ হলে হয়তো একাদশে জায়গা হারাতে হতো তাকে।
শারজাহতে আজ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। যেখানে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৪৪ রান করেছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে উদ্বোধনী জুটিতে ৫৩ রান এনে দেন সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসান তামিম।
অবশ্য পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই ফিরে যান দুজন। ২৩ বলে ২৪ রান করে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বল টেনে এনে বোল্ড হয়ে যান সৌম্য। পরে ৫ রান ও ১২ বলের ব্যবধানে বাংলাদেশ হারায় আরও তিন উইকেট। সেখান থেকেই মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু মাহমুদউল্লাহর।
তবে মাহমুদউল্লাহ ও মিরাজের তাদের পথচলা ছিল কিছুটা ধীর। এক পর্যায়ে একটা বাউন্ডারির জন্য বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয় ৫০ বলের বেশি। তবে ধীরে ধীরে হাত খুলতে শুরু করেন মাহমুদউল্লাহ। ৬৩ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২৯তম ফিফটি। ১৪ ইনিংস পর ফিফটির দেখা পেলেন তিনি। এর মধ্যে সর্বশেষ চার ওয়ানডেতে তার রান ০, ১, ২ ও ৩।
রিয়াদ-মিরাজের লম্বা জুটি ভাঙে ৪৬তম ওভারে গিয়ে। মিড অফে ওমরজাইয়ের বলে নাইবের হাতে ক্যাচ দেন মিরাজ। ১১৯ বলের ইনিংসে ৪টি চার হাঁকিয়ে ৬৬ রান করেন তিনি। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তার জুটি ছিল ১৮৮ বলে ১৪৫ রানের।
মিরাজের বিদায়ের পর বাকি ভার আসে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কাঁধে। শেষ ওভারে চার রান করতে পারলেই সেঞ্চুরি পূর্ণ হতো তার। কিন্তু তিনবার স্ট্রাইক পেয়ে দুই রানের বেশি করতে পারেননি রিয়াদ। শেষ বলে হয়ে যান রান আউটও। ৯৮ বলে ৯৮ রান করে বিদায় নেন তিনি। ১০০ স্ট্রাইক রেটে খেলা এই ইনিংসটি ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় সাজানো।
আজ সেঞ্চুরি করতে পারলে একটি 'প্রথম' এর দেখা পেতেন মাহমুদউল্লাহ। এর আগে তার চারটি ওয়ানডে সেঞ্চুরির সবকটি এসেছে আইসিসি টুর্নামেন্টে। আজ তিন অঙ্ক স্পর্শ করলে এটি হতো দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজে তার প্রথম সেঞ্চুরি।
ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করতে না পারলেও বিপদের সময় মাহমুদউল্লাহর ইনিংসটি দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেয়। কিন্তু তাকে ফিরতে হয় ২ রানের আক্ষেপ নিয়ে। তবে ইনিংসটি তাকে ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের করে আনলো সন্দেহ নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২৪
এমএইচএম