ফাইফার থেকে এক উইকেট দূরে ছিলেন আবু হায়দার রনি। চট্টগ্রাম বিভাগের হাতে ছিল চার উইকেট।
জাতীয় লিগে রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে আজ চট্টগ্রামকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা মেট্রো। ৬ উইকেটে ১৭৩ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে চট্টগ্রাম। নাঈম হাসান (৬২) ফিফটি করলেও আরিফের তোপে ২৪৬ রানেই গুটিয়ে যায়।
১৩৯ রানের লক্ষ্য পেরোতে শুরু থেকেই তাড়াহুড়োর ভেতর ছিল ঢাকা মেট্রো। সর্বোচ্চ ৪২ রান আসে আইচ মোল্লার ব্যাট থেকে। এছাড়া নাঈম শেখ ৩৫ ও শামসুর রহমান করেন ২১ রান। চট্টগ্রামের হয়ে ৩ উইকেট নেন নাঈম।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হারের মুখে দাঁড়িয়ে আছে ইতোমধ্যেই শিরোপা নিশ্চিত করা সিলেট বিভাগ। রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে হার এড়াতে ৫৯ রান প্রয়োজন তাদের। কিন্তু হাতে আছে মাত্র দুই উইকেট।
৩ উইকেটে ৭০ রান নিয়ে দিন শুরু করা রাজশাহী দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে যায় ১৮৬ রানে। কিন্তু ২০১ রানের লক্ষ্য পেয়েও হিমশিম খাচ্ছে সিলেট। দিন শেষে ৮ উইকেটে ১৪২ রান করেছে তারা। যদিও অমিত হাসান একপ্রান্ত আগলে রেখে জয়ের আশা টিকিয়ে রাখছিলেন। কিন্তু ৯৩ বলে ৮ চারে ৭১ রানে ফিরতে হয় তাকে। এছাড়া পিনাক ঘোষ ও তৌফিক খান দুজনেই করেন ৩০ রান। সফর আলী ৩ ও নাবিল সামাদ ২ রানে অপরাজিত আছেন।
খুলনায় শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে রংপুরের বিপক্ষে ১১৭ রানের লিড নিয়েছে খুলনা বিভাগ। আজ সকালে খেলতে নেমে প্রথম ইনিংসে ২৪৪ রানে গুটিয়ে যায় তারা। জবাবে মেহেদী হাসান রানার তোপে ১৩৩ রানে অলআউট হয়ে পড়ে রংপুর। ১৩.৪ ওভারে ৩১ রানে ৭ উইকেট শিকার করেন রানা।
বড় লিড পাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ৬ রান রান নিয়ে দিন শেষ করেছে খুলনা। এনামুল হক বিজয় ২ ও অমিত মজুমদার ৪ রানে অপরাজিত আছেন।
বগুড়ায় শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ১৮৬ রানের লিড নিয়ে দিন শেষ করেছে বরিশাল বিভাগ। ৮ উইকেটে ৩০৩ রান নিয়ে দিন শুরু করা ঢাকা বিভাগ ইনিংস ঘোষণা দেয় ৩১০ রানে। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ২০৭ রান নিয়ে দিন শেষ করে বরিশাল। ফজলে মাহমুদ রাব্বি ৫০ ও মইনুল ইসলাম ৫৬ রান করেন। মইন খান ৩০ ও রুয়েল মিয়া শূন্য রানে অপরাজিত আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২৪
এএইচএস