গলেও পেসাররা সফল ছিলেন না। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রইলো কলম্বোতেও।
দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে আজ বাংলাদেশের ২৪৭ রানের জবাবে লঙ্কানদের প্রথম ইনিংসে দারুণ শুরু এনে দেন নিশাঙ্কা। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা লাহিরু উদারাকে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৮৮ রান যোগ করেন তিনি। উদারা অবশ্য ৪০ রানে আউট হয়েছেন। এরপর দীনেশ চান্ডিমালকে নিয়ে আরও ১৯৪-এর বেশি রানের জুটি গড়েন নিশাঙ্কা।
গলে ক্যারিয়ার সেরা ১৮৭ রানের ইনিংস খেলে দলের ড্রয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। এবার ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। আগের টেস্টে শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে চান্ডিমালের সঙ্গে নিশাঙ্কার জুটিতে উঠেছিল ১৫৭ রান। সেটিও পেরিয়ে গেছেন তারা। চান্ডিমাল ফিফটি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরির পথে ছুটছিলেন।
বাংলাদেশের বোলারদের ওপর রীতিমতো ছড়ি ঘুরিয়েছেন নিশাঙ্কা ও চান্ডিমাল। দলীয় ৮৮ রানে শ্রীলঙ্কা যে উদানার উইকেটটি হারায়, সেটি তুলে নেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। কিন্তু নির্বিষ বোলিংয়ে বাকিরা কোনো প্রভাব ফেলতে পারেননি। শেষ বেলায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাফল্যটি আসে নাঈম হাসানের হাত ধরে। তার বলে উইকেটকিপার লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দেন চান্ডিমাল। তাতে শেষ হয় ১৫৩ বলে তার ৯৩ রানের ইনিংস।
অথচ একই পিচে বাংলাদেশের ব্যাটাররা ঠিকভাবে দাঁড়াতেই পারেননি। কোনো ব্যাটার ফিফটিও ছুঁতে পারেননি। প্রথম দিন সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেছিলেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। আর বোলারদের অবস্থা আরও সঙ্গীন। দুই পেসার নাহিদ রানা ও এবাদত হোসেন রান খরচ করেছেন দেদারসে। স্পিনারদের অবস্থাও সুবিধার নয়। তাইজুল ও নাঈম উইকেট পেলেও মেহেদী হাসান মিরাজ কিছুই করতে পারেননি।
দিন শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ২ উইকেটে ২৯০ রান, লিড ৪৩ রানের। ব্যক্তিগত ১৪৬ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন নিশাঙ্কা।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের দলীয় সাফল্য যেখানে প্রায় নেই বললেই চলে, সেখানে একটি ব্যক্তিগত সাফল্য আছে কেবল লিটন দাসের। চান্ডিমালের ক্যাচ ধরে তিনি ভেঙেছেন মুশফিকুর রহিমের একটি রেকর্ড। এতদিন উইকেটকিপার হিসেবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ডিসমিসালের মালিক ছিলেন মুশফিক (১১৩টি)। লিটন আজ তাকে ছাড়িয়ে গেছেন।
এমএইচএম