ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ রবিউস সানি ১৪৪৭

ক্রিকেট

ইতিহাস গড়ে ২০০ উইকেটের ক্লাবে রশিদ খান

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:৩৯, অক্টোবর ৯, ২০২৫
ইতিহাস গড়ে ২০০ উইকেটের ক্লাবে রশিদ খান

আফগানিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচনা করেছেন তারকা লেগ স্পিনার রশিদ খান। বাংলাদেশের বিপক্ষে আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ২০০তম উইকেট পূর্ণ করে দেশের ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি।

শুধু তাই নয়, তিনি এখন প্রথম এশিয়ান ক্রিকেটার যিনি ওয়ানডেতে ২০০টির বেশি এবং টি-টোয়েন্টিতে ১৫০টির বেশি উইকেট নিয়েছেন।

গতকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে বল হাতে নামার পর থেকেই ছিলেন ছন্দে। ১০ ওভার বল করে মাত্র ৩৮ রান দিয়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন রশিদ। বাংলাদেশের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ, জাকের আলি ও নুরুল হাসান সোহান, এই তিন ব্যাটারকেই ফেরান তিনি। এই তিন উইকেটের সুবাদে নিজের নাম লিখিয়েছেন ইতিহাসের পাতায়।

১১৫ ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত রশিদের উইকেট সংখ্যা ২০২, গড় মাত্র ২০.২৮ এবং ইকোনমি রেট ৪.২৩। সেরা বোলিং ফিগার ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৮ রান। ক্যারিয়ারে পাঁচবার নিয়েছেন পাঁচ উইকেট, ছয়বার নিয়েছেন চার উইকেটের বেশি। আফগানিস্তানের বোলারদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী (১৭৬ উইকেট ১৭৪ ম্যাচে) এবং তৃতীয় স্থানে দাউলত জাদরান (১১৫ উইকেট ৮২ ম্যাচে)।

ম্যাচের শুরুতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়ে দলটি। ৫৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর চতুর্থ উইকেটে তৌহিদ হৃদয় ও মেহেদী হাসান মিরাজ গড়ে তোলেন ১০১ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। ৮৫ বলে ৫৬ রান করেন হৃদয়, আর মেহেদী খেলেন ৬০ রানের ইনিংস। তবে হৃদয়ের রানআউটের পরপরই রশিদের ঘূর্ণি জাদুতে আবারও ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৪৯.৫ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২২১ রানে থামে টাইগারদের ইনিংস।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আত্মবিশ্বাসী সূচনা পায় আফগানিস্তান। প্রথম উইকেটে রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান জুটি গড়েন ৫২ রানের। গুরবাজ খেলেন ৭৬ বলে ৫০ রানের ধীরস্থির ইনিংস, যাতে ছিল একটি চার ও একটি ছক্কা। তার সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে রহমত শাহ যোগ করেন আরও ৭৮ রান। রহমতও খেলেন অর্ধশতক। ৭০ বলে ৫০ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

দুজন ফিরলেও ম্যাচে চাপ আসতে দেননি আজমাতুল্লাহ ওমরজাই। ৪৪ বলে ৪০ রানের ঝড়ো ইনিংসে ছয়টি চার ও একটি ছক্কা মারেন তিনি। অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি (৩৩) ও নবী (১১ অপরাজিত) মিলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন ১৭ বল হাতে রেখে।

আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।